বাংলাদেশ বনাম আফ্রিকা ম্যাচে কপাল পুরলো এই ব্যাটের

সব মিলিয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল টাইগারদের, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মূল পর্বের খেলা কিংবা সুপার টুয়েলভে শেষ কবে জয় পেয়েছে টাইগাররা, বলতে পারেন? সেই উত্তর জানতে হলে পেছন ফিরে যেতে হবে ১৫ বছর, কারন ২০০৭ সালে শেষবার উইন্ডিজদের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আর মূল পর্বে জয়ের দেখাই পায়নি টাইগাররা। অবশেষে এসেছে সেই অধরা জয়, এক জয়েই বাংলাদেশ উঠে এসেছে নিজেদের গ্রুপে পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে।

ওপেনিংয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে সাফল্যের দেখা পাচ্ছেন নাজমুল হাসান শান্ত। যদিও ইনিংস বড় করতে পারছেন না তবে যেভাবে শুরু করছেন তাতে ভরসা থাকবে তার ওপরেই। দলে সুযোগ পাওয়ার পর এখনো ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি সৌম্য, তবে কি একটা সুযোগ পাবেন মেহেদি মিরাজ? ওপেনিংয়ে না পেলেও সম্ভবনা আছে দলে থাকার।

তিন নাম্বারে লিটন দাসের ব্যাটিং করা নিশ্চিত, যদিও প্রশ্ন উঠছে তাকে ওপেনিংয়ে ফেরানোর, তবে সেই সম্ভাবনা নেই। আর চার নম্বরে থাকবেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বয়স এখনো ২৩, তবে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব টা ঠিকই নিজের কাঁধে উঠিয়ে নিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। টাইগারের বিপদে পড়লে হাল ধরেন তিনি, পাঁচ নম্বরে দেখা যাবে তাকেই।

সময়টা ভাল যাচ্ছে না ইয়াসির আলী রাব্বির, তবে ম্যানেজমেন্ট কি এখনো ভরসা রাখবে তার ওপর? নাকি সুযোগ দেবে মেহেদি মিরাজ কে? তাকে বাদ দেয়ার সম্ভবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত স্পিনার হিসেবে বিবেচনা করতে পারে মেহেদিকে, নয়ত আরেকজন পেসার হিসেবে দলে জায়গা হতে পারে এবাদতের।

উইকেটের পেছনে থাকবেন নুরুল হাসান সোহান, যার অবস্থান সাতে। দলের ফিনিশার এর ভূমিকায় থাকবেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে যদি এবাদত দলে ঢোকেন তাহলে ইয়াসিরের জায়গায় ব্যাট করতে পারেন তিনি!

বাকি ৩ জন পেসার থাকবেন শেষ ম্যাচের মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। সম্ভবনা রয়েছে এই একাদশ নিয়েই মাঠে নামার।

You May Also Like