
চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এবার মূল পর্বে সরাসরি অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। তবে সময়টা ভালো না যাওয়ায় গণমাধ্যমের সাথে দুরত্ব বজায় রাখছেন ক্রিকেটারসহ টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই৷ মাঝে মধ্যে দলের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন কথা বললেও অসুস্থতার কারণে ছিলেন না তিনিও। এর মাঝে কথা বলে দলের আপডেট দেননি কেউই। হোবার্টের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে চেকইন করার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি শুনতেই যেন আকাশ থেকে পড়লেন সুজন, ‘তাই নাকি? আমি তো জানি না। আমি বরং জানি যে কেউ না কেউ কথা বলে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে নিশ্চয়ই কেউ কথা বলে।’
টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের কেউ কেউ কথা বলেছেন, তবে সেটি নিয়মিত ছিল না। কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে দিয়ে তাদের কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছেন। তবে অনুশীলন এবং অনুশীলনবিহীন দিনে ক্রিকেটাররা একদমই না। ব্যতিক্রম বলতে শুধু ব্রিসবেনে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারার পর, মোসাদ্দেক হোসেনকে সেদিন কথা বলতে পাঠানো হয়েছিল।
এরপর বৃষ্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে গেছে, বৃষ্টিতে অনুশীলন করতে না পেরে হোটেলে বিশ্রামে পার করা দিনও গেছে, বিরূপ প্রকৃতি কখনো ব্রিসবেনের ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারের ইনডোরেও ঢুকিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। সেসব দিনে কোনো একজন ক্রিকেটারকে কথা বলার জন্য চেয়েও পায়নি সংবাদমাধ্যম। কিন্তু কেন? তারা নিজেরাই কি কথা বলতে চাইছেন না? নাকি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে তাদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ভেতরে ভেতরে?
এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে নিতে পারেন খালেদ মাহমুদের কথা থেকে। যিনি নিজেও ইদানীং সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলছেন। হোবার্টেই সুপার টুয়েলভ পর্বে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিম ডিরেক্টর জানালেন সংবাদমাধ্যমে কথা বলা নিয়ে অলিখিত এক নিষেধাজ্ঞা আছে তারও। মাহমুদের বক্তব্য শুনে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে সেই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনের লোকটি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই। তাই তার সর্বশেষ সাক্ষাৎকারের জন্য চটেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
সুজন বলেন, “আমি তো এমনিতেও কোনো সাক্ষাৎকার দিচ্ছি না এখন। তবু সেদিন আপনাদের এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছিলাম। কথাচ্ছলে তাকে বলছিলাম, ‘আপনারা টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে এত জানতে চান কেন? এগুলো দলের ভেতরের বিষয়, ভেতরেই থাকুক।’ এটা আবার সাকিবও দেখেছে। দেখে সে খুব মাইন্ড করেছে। ও এসে আমাকে বলল, ‘আপনি এই কথা বলতে গেলেন কেন? আমরা তো বলেই দিয়েছি যে কথা বলব না।’ এরপর নিজের কাছেই নিজেকে খুব ছোট লেগেছে।”