
চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেই শতক হাঁকালেন মুশফিকুর রহিম। ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে রাজশাহীর এ ব্যাটার অপরাজিত আছেন ১০৮ রানে।
এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর গত মাসে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানান মুশফিকুর রহিম। এরপর নিজের হারানো ছন্দ খুঁজে পেতে নেমে পড়েন অনুশীলনে। কিন্তু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জিমনেসিয়ামে ফিটনেস অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পেয়ে বিশ্রামে চলে যেতে হয় তাকে।
যার কারণে রাজশাহীর হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি মুশফিকের। অবশেষে এক মাসের বিশ্রাম শেষে মাঠে ফিরেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ফিরে এসেই করেছেন বাজিমাত। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) মুশফিক তুলে নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে তার ১৫তম শতক।
সোমবার আগে ব্যাটিং করে মাত্র ১৩৪ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকা মেট্রো। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১১ রানে দিনশেষ করেছিল রাজশাহী। জুনাইদ সিদ্দিকীর সঙ্গে দ্বিতীয় দিনে দলের খাতায় ৭৮ যোগ করে বিদায় নেন তৌহিত হৃদয়। তিনি বলে ৮২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ৩৬ রান। এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিক। তাকে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি জুনাইদ। ১৭০ বলে ৫ চারে ৫৩ রান করেন এ ওপেনার।
অন্যদিকে প্রিতম কুমারকে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০৭ রান যোগ করেন মুশফিক। ৯৮ বল মোকাবিলায় তুলে নেন ফিফটি। অপরপ্রান্তে ১০৬ বল মোকাবিলায় ৭ চারে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রিতম। ক্রিজে এসে ৬ বলে ২ রান করতেই রান আউটের শিকার হন মেহেরব হাসান। সপ্তম উইকেট জুটিতে ফরহাদ রেজাকে নিয়ে ফের ম্যাচের হাল ধরেন মুশফিক।
২২৮ বল মোকাবিলায় মুশফিক তুলে নেন এবারের আসরের প্রথম শতক। তার ব্যাটে ভর করে দিনশেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩৩ রান করেছে রাজশাহী। ১০৩ বল মোকাবিলায় ৫৮ রানে অপরাজিত আছেন রেজা। দিন শেষে ঢাকা মেট্রোর তুলনায় তারা এগিয়ে আছেন ১৯৯ রানে।