
সর্বশেষ এশিয়া কাপের আগে হুট করেই দলে নেয়া হয় সাব্বির রহমানকে। পারফর্ম না করেও জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ায় নির্বাচকদের ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছিল তাকে নিয়ে। যদিও দলে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি সাব্বির। এশিয়া কাপে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমে করেছিলেন মাত্র ৫ রান। এরপরর আরব আমিরাত সফরে ০ ও ১২ রান করেছিলেন।
এরপর পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজেও ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির। এক ম্যাচে ১৪ রান করার পরই ধৈর্য হারিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এর ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকেও বাদ দেয়া হয়েছে তাকে। রবিবার সকালেই জাতীয় এক দৈনিকের মাধ্যমে জানা যায় সাব্বির দলে এসেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক পরিচালকের অনুগ্রহে দলে ঢুকেছিলেন সাব্বির।
যদিও নিজের ফেসবুক লাইভে এই বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন সাব্বির। তিনি বলেছেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা যারা আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করেন তাদের জন্য। আমি টিকটক করি। কিন্তু এটা দেশের বিরোধিতা করার মতো না। দিন শেষে আমারও পরিবার আছে। তারা বুঝতে পারে না কি হচ্ছে। আমি টিকটক করি মজা করার জন্য।
এটা নিয়ে এতো কথা হওয়ার কারণ দেখি না। এটা একটা ভিন্ন অধ্যায়। আমি লজ্জিত কিন্তু, আমার দেশও এজন্য লজ্জায় পড়ে যাচ্ছে। আমার পরিবার এসব নিয়ে কষ্ট পায়। আমার সম্মান আছে। কিন্তু কেউ যদি এটা নিয়ে নেগিটিভ নিউজ করে এটা মানহানী হতে পারে। আশা করি সাংবাদিক ভাইয়েরা এসব নেগিটিউভ নিউজ থেকে বিরত থাকুন।’
বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে সাব্বির বলেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে যদি বলি। এটা নিয়ে আমার কোনো খারাপ লাগা নেই। আমি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভাল খেলেছি। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে চার ম্যাচে ভালো খেলিনি। আমার জায়গায় যারা খেলছে আশা করি তারা ভালো করবে। বাংলাদেশ জিতলে আমিই সবচেয়ে খুশি হবো।’
‘সমকাল আমাকে নিয়ে নিউজ করেছে। আমি নাকি বোর্ড পরিচালকের দ্বারস্থ হয়ে দলে ঢুকেছি। এমনই যদি হয় আমি আরও আগেই ঢুকতাম। এসব নিয়ে কথা ওঠা অযৌক্তিক। এগুলো নিয়ে আমি কথা বলিনি কখনও। যখন পার্সোনাল বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে তখন আমি আসলাম এগুলো নিয়ে কথা বলতে।
আমি তো কোনো অন্যায় করিনি। আমি এই ব্যপারে ব্যবস্থা নেবো।’