
ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাটারররা দু-এক ম্যাচে ভালো করলেও টাইগার বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল সাদামাটা। দ্রুত উইকেট শিকার করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা অথবা লাইন লেংথ ঠিক রেখে ওভার প্রতি কম রান দেয়া, কোনোটাতেই মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি তাসকিন-শরিফুলরা।





চার ম্যাচের একটিতেও জয় না পাওয়ার পেছনে যা ছিল অন্যতম কারণ। আসরে একাধিক ম্যাচ খেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলার সাইফুদ্দিন। আর টাইগারদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হাসান মাহমুদও ওভার প্রতি রান দেয়ায় ছিলেন খরুচে।





টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ব্যার্থতায় বরাবরই কাঠগড়ায় ব্যাটারররা। যেখানে বোলারদের সমালোচনা সইতে হয় কালেভদ্রে। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ চার ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে। প্রতিটি ম্যাচে হারের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে ব্যাটারদের নিয়ে। তবে আড়ালেই থেকে গেছে বোলারদের পারফরম্যান্স।
ত্রিদেশীয় সিরিজের চার ম্যাচে স্কোয়াডের সবাইকে সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে টি-টোয়েন্টির আদর্শ বোলিং করতে পারেননি কেউ। দ্রুত উইকেট শিকার করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা অথবা লাইন লেংথ ঠিক রেখে ওভার প্রতি কম রান দেয়া, কোনোটাতেই মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি টাইগার বোলাররা।





তিন ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন হাসান মাহমুদ। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন প্রায় ৮। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে ২ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। ইকোনমি সাড়ে সাতের উপরে। তিন ম্যাচ খেলা আরেক পেসার শরিফুল নিয়েছেন ২ উইকেট। ওভার প্রতি খরচ করেছেন সাড়ে নয় রান।





দুটি ম্যাচ খেলা সাইফুদ্দিন এই তালিকার সবচেয়ে খরুচে বোলার। দুই ম্যাচে ২ উইকেট শিকারে এই মিডিয়াম পেসার ওভার প্রতি রান দিয়েছেন সাড়ে এগারো করে। আর একটি ম্যাচে সুযোগ পাওয়া মুস্তাফিজের অবস্থা আরও করুণ। প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়েছিলেন ফিজ। পাননি কোনো উইকেট। এরপর ব্যাপক সমালচনার মুখে তাকে আর মাঠেই নামায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। এক ম্যাচ খেলা আরেক পেসার এবাদত নিয়েছেন ২ উইকেট। ইকোনমি ১০।
স্বস্তি নেই স্পিন ডিপার্ট্মেন্টেও। পেস বান্ধব উইকেটে কিউই ও পাকিস্তানি স্পিনাররা সফল হলেও সাকিব-মিরাজ-নাসুমরা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি একেবারেই।