
একের পর এক ব্যার্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। জয়ের দেখা পাচ্ছে না। তার মুল কারণ ব্যাটিংদের ব্যর্থতা। বিশেষ করে ওপেনারদের ব্যর্থতা দলকে বেশি ভুগাচ্ছে। আর বোলিংয়ের কথা না বললেই ভালো। জেতা ম্যাচ হারাচ্ছে তারা।





তিন জাতি ক্রিকেট টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শেষে এখনও চূড়ান্ত হয়নি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে খেলবেন কে কে? প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরমেন্স করতে পারিনি সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ। যার কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজে ওপেনিংয়ে আবারো পরিবর্তন আনে ম্যানেজমেন্ট।
সুযোগ পান নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হয়েছেন শান্ত। ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনটি ম্যাচ ওপেন করে সেই শান্ত করেছেন ১৫ বলে ১২, ১২ বলে ১১ আর ২৯ বলে ৩২। যার মধ্যে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে আবার ১ রান করতেই ৯ বল অপেক্ষা করেছিলেন। এখন এই শান্তকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ব্যাটিং অর্ডারে কোথাও লুকানো যাচ্ছে না তাঁর দুর্বলতা।





বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে থাকলেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজে দুবাইতে খেলানো হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তকে। টিম ম্যানেজমেন্ট, বিশেষ করে খালেদ মাহমুদ সুজনের আশঙ্কা ছিল- দুবাইতে যদি কোনো কারণে ব্যর্থ হন শান্ত, তাহলে সমালোচনার তীব্রতা বেড়ে যাবে।





তবে এই পরীক্ষায় একটি বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর সেটা হলো, মিরাজকে দিয়ে মেকশিফট ওপেনার খেলানোটা ঠিক হবে না। পাঁচ ম্যাচে মিরাজ হয়তো একটিতে ভালো করতে পারেন, কিন্তু তাঁর জন্য বাকি চারটি ম্যাচ ঝুঁকিতে নেওয়া ঠিক হবে না।
সাব্বির রহমান রুম্মানকে দিয়েও যে ওপেনিং চলবে না, সেটা বুঝে গেছে সবাই। সবাইকে অন্তত দুটি করে ম্যাচ খেলিয়ে এখন সাকিব-শ্রীরাম টেবিলে বসে ঠিক করবেন, বিশ্বকাপে কোন জুটি দিয়ে ওপেন করানো হবে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে আগে আরো দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেখানেই হতে পারে ওপেনিং জুটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।