
নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিয়ে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুইবার করে সাক্ষাৎ হয় টাইগারদের।





দুই দলের বিপক্ষে চার ম্যাচে অংশ নিয়ে একটিতেও জয় পায়নি সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি। বাংলাদেশ কোনো ম্যাচে জয় না পাওয়ায় পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড চার ম্যাচে জিতে ৬ পয়েন্ট করে নিয়ে ফাইনালে উঠে যায় তারা।
শুক্রবার সকাল ৮টায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড।





বৃহস্পতিবার সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এদিন সাকিব (৬৮) ও লিটনের (৬৯) জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান করেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জোড়া ফিফটি এবং মোহাম্মদ নওয়াজের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।





এদিন খেলা শেষে পাকিস্তানের এ সময়ের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যান বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নেন লিটন দাস। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, আত্মবিশ্বাসী থাকতে লিটনকে বাইরের কথায় কান না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বাবর।





বাবর বলেন, বাইরের কথা যত কম শুনবে, নিজের বিশ্বাস ততটা শক্ত থাকবে। কারণ না চাইলেও নিজের মধ্যে একটা সন্দেহ-সংশয় চলেই আসে। ভালো খেলতে থাকলেও কেউ হয়তো কিছু একটা বলে দিল, তখন নিজের মধ্যে ভাবনা চলে আসে সব ঠিক আছে তো!
একই সময় রিজওয়ানের সঙ্গেও কথা বলেছেন লিটন। দুজনেরই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে ২০১৫ সালে। ক্যারিয়ারের শুরুতে দুজনেরই ছিল ধারাবাহিকতার অভাব। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ২৫ ম্যাচে কোনো ফিফটি করতে পারেননি রিজওয়ান। কিন্তু পরের ৪৭ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ ফিফটির সঙ্গে একটি সেঞ্চুরি। ধারাবাহিকতায় অনন্য নজির দেখিয়ে রিজওয়ান উঠে গেছেন র্যংকিংয়ের শীর্ষে।
রিজওয়ান বলেন, নতুন শুরু করাটা জরুরি। তাহলে (আগের) সবকিছু সেখানেই শেষ হয়ে যাবে। কখনো শূন্য হবে, ১০ রানে আউট হবে, সেঞ্চুরিও হবে। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছু সম্ভব না। হ্যাঁ, নিজ নিজ দলে কেউ ব্যতিক্রম কিছু করলে তার ফলও আলাদা হতে পারে। আবার কেউ থাকে সাকিবের মতো শক্ত মানসিকতার।
পাকিস্তানের অন্যতম সেরা এই ওপেনার আরও বলেন, নিজেকে একটি জিনিসের জন্য প্রস্তুত করে ফেলো। ধরে নেবে- আমার জীবনে ১০টি ইনিংস এমন হবে যেখানে আমি আটকে যাব। আবার ১০টি ইনিংস এমন হবে যেখানে ১২ বলে ২০ লাগলেও আমি করে ফেলব। কিন্তু বড় খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এমন হয় যে, তারা সবসময় সুস্থির থাকে। যে কারণে ১০ ইনিংসের বদলে ৪টিতে ব্যর্থ হয়, বাকি ৬টিতে সফল হয়ে যায়।