বিশ্বকাপে কাদের নিয়ে খেলবে পরিষ্কার হয়েছেন সাকিব; দলে আসছে পরিবর্তন

নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের সবকটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে আজ (১৩ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং বিভাগ রেখেছে উন্নতির ছাপ। এই সিরিজে চলা নানা ধরণের পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে বিশ্বকাপে কোন দলটা খেলবে তার পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন বলছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে না খেলা সাকিব পরের তিন ম্যাচে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। শেষ দুই ম্যাচে হাঁকান ফিফটি। আগের ম্যাচে ৭০ রানের পর আজ করলেন ৪২ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৬৮ রান।

এ দিন যোগ্য সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন লিটন দাসকে। দুজনে মিলে জুটিতে যোগ করেন ৮৮ রান। সাকিবের সাথে ফিফটি লিটনেরও (৪২ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ৬৯ রান)। দল পেয়েছে ৬ উইকেটে ১৭৩ রানের পুঁজি। তবে সাকিব-লিটনের বিদায়ের পর শেষ দিকে রান ওঠেনি ভালোভাবে। শেষ ওভারে আসে মাত্র ৩ রান।

অন্যদিকে শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে এক বল হাতে রেখেই জয় পায় পাকিস্তান। যেখানে জোড়া ফিফটি মোহাম্মদ রিজওয়ান (৬৯) ও বাবর আজমের (৫৫)।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, ‘হ্যাঁ এটি (নিউজিল্যান্ডে জেতা) কঠিন। তবে আজকে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলেছি। হয়তো আর কিছু রান বেশি করতে পারতাম। শেষ ওভারে আমরা মাত্র ৩ রান করেছি। শেষের ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে দলের আশা ছিল ১০-১৫ রানের। তবে এমন হতেই পারে।’‘আমি নেতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। আমার মতে, আজ মাঝের ওভারে আমরা দারুণ খেলেছি। এই জায়গায় আমরা পিছিয়ে ছিলাম। তো এটি একটি ইতিবাচক দিক। এই সিরিজ থেকে যেমন প্রস্তুতি চাচ্ছিলাম আমরা সেটা পেয়েছি। এখন আমাদের দায়িত্ব হলো বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরে দেশের জন্য ভালো কিছু করা।’

এই পুরো সিরিজে বাংলাদেশ দল ভিন্ন ভিন্ন কম্বিনেশনেই খেলেছে। চার ম্যাচেই দেখা গিয়েছে আলাদা আলাদা ওপেনিং জুটি। বোলিং আক্রমণেও ছিল নতুনত্ব। আজ যেমন পুরোদমে পেস নির্ভর একাদশ সাজানো হয়। খেলানো হয়েছে ৪ পেসার।
সব ছাপিয়ে বড় কথা বিশ্বকাপের আগে টিম ম্যানেজমেন্ট ইতোমধ্যে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছে সেরা কম্বিনেশন গড়ার পথে। অন্তত সাকিব নিজে সেটাই জানালেন। তার ভাষায়, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এখন পরিষ্কার যে বিশ্বকাপে কোন দল খেলানো হবে, আমরা ঠিক কী চাচ্ছি। হ্যাঁ! (ক্লোজ ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে)। আমরা যেভাবে খেলেছি, প্রথম ম্যাচ ও শেষ ম্যাচের দিকে দেখুন, অনেক উন্নতি হয়েছে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগ পর্যন্ত আমরা এই ধারা ধরে রাখতে চাই।’

৩ ম্যাচে সাকিবের ব্যাটে রান ১৫৪। তবে বল হাতে শিকার করতে পারেননি কোনো উইকেট। ব্যাটিং দিয়ে দলে অবদান রেখে খুশি সাকিব তবে বোলিং নিয়ে আছে আক্ষেপও।

তিনি বলেন, ‘দলের জন্য রান করা আমার কাজ। অন্য দিক থেকে চিন্তা করলে তিন ম্যাচে বোলিংটা পুরোপুরি যথাযথ হয়নি। এই জায়গায় আমার হয়তো কিছু কাজ করতে হবে।’

You May Also Like