শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের ছাড়াই শুরু হয়েছে এবারের জাতীয় লিগ। তারকা শূন্য এ লিগে প্রথম দিনে দাপট দেখিয়েছে বোলাররাই। এরমধ্যেও দুই একজন যারা ছিলেন, তারাও পারেননি কিছু করতে। মোহাম্মদ নাঈম শেখ তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ১ রানে আউট হয়েছেন আশরাফুল। তামিম ইকবাল করেছেন ৩১ রান।





সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে মুখোমুখি হয় সিলেট বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই স্পিনার নাবিল সামাদ ও নাঈম আহমেদের ঘূর্ণিতে পড়ে মাত্র ১৪১ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেন।





৪৭ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট তুলে নেন নাবিল। নাঈম আহমেদ ৩টি উইকেট পান ২৮ রানের বিনিময়ে।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১৫ রান করে দিন শেষ করেছে সিলেট। ইমতিয়াজ হোসেন ৪ ও তৌফিক খান ১১ রানে উইকেটে আছেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৩০ রানে এগিয়ে আছে ঢাকা বিভাগ। ৫ উইকেটে ১২২ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। তাইবুর রহমান ও নাদিফ চৌধুরী দুই জনই উইকেটে আছেন ৩০ রান নিয়ে। মাহিদুল ইসলাম অংকনের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।





রংপুরের পক্ষে ২৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পেয়েছেন মুশফিক হাসান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সুমন খানের বোলিং তোপে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক। রিশাদ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। নাঈম সিলাম অবশ্য ইনজুরির কারণে রানের খাতা খোলার আগেই মাঠ ছাড়েন। নাসির হোসেন ১ রানে আউট হন।
ঢাকার পক্ষে ২৫ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন সুমন। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন সালাউদ্দিন শাকিল ও রিপন মণ্ডল।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৯৪ রানে এগিয়ে আছে খুলনা বিভাগ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন নাহিদুল ইসলাম। এছাড়া অমিত মজুমদার ৩৫ ও মেহেদী হাসান ২০ রান করেন। এ তিন ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন টিপু সুলতান।
ঢাকা মেট্রোর পক্ষে ২৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন মানিক খান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কাজী অনিক ও শরিফুল্লাহ।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৩৭ রান করে প্রথম দিন শেষ করেছে ঢাকা মেট্রো। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ আউট হয়েছেন খালি হাতে। শামসুর রহমান ২০ ও আমিনুল ইসলাম ৭ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
খুলনার পক্ষে ৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন জিয়াউর রহমান।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে কেবল এদিন কিছুটা রান দেখা গিয়েছে। স্বাগতিক রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান তুলেছে বরিশাল বিভাগ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন আবু সায়েম। ৫৬ রান আসে সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে। ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তানভির ইসলাম। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।
রাজশাহীর পক্ষে ৩৬ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান নাহিদ রেজা। ২টি শিকার সানজামুল ইসলামের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর বিভাগ ১ম ইনিংস: ৩৬.২ ওভারে ৯২ (মাইশুকুর ৩, জাহিদ ১২, তানবীর ০, নাঈম ০ আহত অবসর, নাসির ১, আকবর ০, আরিফুল ৩৪*, রবিউল ১০, রিশাদ ২৪, হাসিম ০, মুশফিক ০; সুমন ১১.২-৫-২৫-৫, সালাউদ্দিন ৮-২-১৪-২, রিপন ৯-১-৩১-২, নাজমুল অপু ৭-১-১৪-০, তাইবুর ১-০-১-০)
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৪৫ ওভারে ১২২/৫ (মজিদ ৭, রনি ০, মাহিদুল ২৬, রকিবুল ১৬, তাইবুর ৩০*, শুভাগত ৪, নাদিফ ৩০*; রবিউল ১০-৩-৩১-১, মুশফিক ১২-৪-২৮-৩, আরিফুল ৮-১-২২-০, হাসিম ১১-৩-১৯-১, নাসির ৪-০-১৫-০)
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৬০.১ ওভারে ১৩১ (নাবিল ৫, অমিত ৪৫, ইমরানুজ্জামান ০, ইমরুল ৪, শেখ মেহেদি ২০, জিয়াউর ২, নাহিদুল ৪২*, আব্দুল হালিম ৫, টিপু ১১, সালমান ১*; আবু হায়দার ১১-২-২৮-১, কাজি অনিক ১০-৪-২৮-২, রকিবুল ৯-২-২৬-১, শরিফউল্লাহ ১৫.১-৬-১৬-২, মানিক ১৫-৫-২৮-৪)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ২৪ ওভারে ৩৭/৩ (মাহফিজুল ৪, নাঈম শেখ ০, শামসুর ২০*, মার্শাল ৪, আমিনুল ৭*; আল আমিন ৫-২-৫-০, জিয়াউর ৭-৪-৬-২, সালমান ৩-০-৮-০, আব্দুল হালিম ৫-২-১২-১, টিপু ৩-২-৩-০, শেখ মেহেদি ১-০-১-০)
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম বিভাগ ১ম ইনিংস: ৮০.১ ওভারে ১৪১ (সাব্বির ১৬, তামিম ৩১, পিনাক ১১, সৈকত ১০, পারভেজ ১৫, ইরফান ৯, ইফতেখার ৪, মেহেদি রানা ২, মুরাদ ১৪, ইয়াসিন ১১, শরিফ ৫*; আবু জায়েদ ৮-৩-১২-০, তানজিম ১১-৫-২৩-১, নাঈম ২০-৮-২৮-৩, নাবিল ২৭.১-৪৭-৫, শাহানুর ১৪-৪-১৯-১)
সিলেট বিভাগ ১ম ইনিংস: ৪ ওভারে ১৫/০ (ইমতিয়াজ ৪*, তৌফিক ১১*; মেহেদি রানা ২-০-৫-৮, মুরাদ ১-০-১০-০, ইয়াসিন ১-১-০-০)
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল বিভাগ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৬৯ (রাফসান ৩৭, আশরাফুল ১, ফজলে মাহমুদ ২০, সালমান ৮, নুরুজ্জামান ১, সোহাগ ৫৬, সায়েম ৫৯, রাব্বি ২১, তানভির ৪৩*, রুয়েল ৬, শাহিন ৫*; শফিকুল ১৩-৫-৩৮-১, নাহিদ রানা ২০-১১-৪৬-৪, ফরহাদ রেজা ১৩-২-৬০-১, আসাদুজ্জামান ১০-৩-৩৪-০, সানজামুল ২৪-১০-৬৫-২, মেহেরব ১০-১-৩৩-১)