
অবশেষে দুই দায় সারা ওপেনারের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে টিম টাইগার। চলতি এই ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশ থেকে বাদ দেয়া হয় সাব্বির রহমানকে। তার বদলি হিসেবে খেলেছেন বিশেষজ্ঞ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত।





সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। খেলেছেন ২৯ বলে ৩৩ রানের দারুণ এক ইনিংস। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এমন পারফরম্যান্সের পর শান্ত জানিয়েছেন নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা ছিল তার।
জাতীয় দলের ওপেনার হিসেবে বিবেচনায় ছিলেন না শান্ত। তবে টপ অর্ডারে বেশ কয়েক বছর ধরেই নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা ছিল শান্তর ওপর।





এই বাঁহাতি ব্যাটার আগেই কোচ ও নির্বাচকদের জানিয়ে দিয়েছেন ব্যাট করলে টপ অর্ডারেই ব্যাটিং করবেন তিনি। সেই পরিকল্পনাতেই নতুন বলে নিয়মিত অনুশীলন করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমি আমার স্কিলের ওপর সবসমই বিশ্বাস করি। একটা খারাপ সময় গেছে। চেষ্টা করবো সামনে সুযোগ আসলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। আমি যখনই দলে সুযোগ পেয়েছি,





তখন থেকেই কোচের সঙ্গে, নির্বাচকদের সঙ্গে, সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে। আমি যদি সুযোগ পাই উপরেই ব্যাটিং করবো এটা অনেক আগে থেকেই জানি। যখন আমি অনুশীলন করেছি নতুন বলের প্রস্তুতিই নিয়েছি।’ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পরই বাজে পারফরম্যান্সের পর দল থেকে বাদ পড়েছিলেন শান্ত। এরপর তাকে ছাড়াই আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলেছে বাংলাদেশ।





এরপর অন্যদের ভরাডুবিতে তাকে নিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়। ডাকা হয় ত্রিদেশীয় সিরিজের দলেও। দল থেকে বাদ পড়লেও নির্বাচক-ম্যানেজমেন্ট তার পাশে ছিল বলে জানালেন শান্ত। দলে সুযোগ দেওয়াতে নির্বাচক ও ম্যানেজমেন্টের প্রশংসায় করলেন শান্ত।
শান্ত বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। আমরা যদি একটা জুটি গড়তে পারতাম তাহলে ব্যাটিংটা আরও ভালো উপভোগ করতে পারতাম এবং আমাদের দলের জন্যও ভালো হতো।
সত্যি কথা বলতে ওইরকম চাপে ছিলাম না। কোচিং প্যানেল থেকে, ম্যানেজমেন্ট থেকে, নির্বাচক প্যানেল থেকে সবসময় সমর্থন ছিল। সবাই পাশে ছিল।’