
বিশ্বকাপের আগে মুশফিক-রিয়াদকে কেন বাদ দেওয়া হল, এখনও জানেন না তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের আক্ষেপ, তরুণদের বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ের আগে হঠাত দলে জায়গা না দিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে তাদের প্রস্তুত করে সুযোগ দেওয়া যেতো। বিশ্বকাপ ভাবনায় লম্বা সময় নিয়ে অনেক আগে থেকেই কিংবা একটা মেগা টুর্নামেন্টের পর পরবর্তীটার জন্য তরুণদের প্রস্তুত করতে পারতো টিম ম্যানেজমেন্ট।





তামিমের মতে, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে রাখা উচিত ছিল। তাদেরকে সারা বছর খেলিয়ে ঠিক বিশ্বকাপের আগেই কেন ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল; জানেন না তামিম।





ঢাকার এক হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন,
‘আমি আগেও বলেছি মুশফিক, রিয়াদ এরা যদি বড় স্টেজে বিশ্বকাপে থাকত আমার কাছে ভালো মনে হতো। কারণ যখন আপনি একটা পুরো বছর এত সিনিয়র ক্রিকেটারকে ক্যারি করেছেন, তাহলে বিশ্বকাপের আগেই কেন (বাদ দেওয়া)।’





‘যদি হতো বছরের আগে হলে ঠিক আছে। কারণ এ বিশ্বকাপের পরই কিন্তু আপনার হাতে দুই বছর সময় আছে (নতুনদের) দেওয়ার জন্য, যারা আছে। দেখেন যে দলটা এখন খেলছে কিছুটা নতুন যদি কয়েকজনের কথা বাদ দেন। যেকোনো নতুন কিছুতে সময় দিতে হবে। সাথে এটাও অবশ্যই বলব, যারা ওদের জায়গা খেলছে যেমন ইয়াসির রাব্বি…আই রেট হিম ভেরি ভেরি হাই। আফিফ অনেক অসাধারণ খেলছে।’





মুশফিকুর রহিম ব্যর্থ এশিয়া কাপ শেষে নানা সমালোচনায় পিষ্ট হয়ে নিজেই নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত। আর রিয়াদকে নিয়ে হয়েছে ভিন্ন গল্প। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় নির্বাচকরা জানান, সবার সম্মতিক্রমে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে বাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদই বাংলাদেশ দলের সব বড় অর্জনের সাথে জড়িয়ে আছেন ভালোভাবে। তাকে ছাড়াই এবার অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ অভিযানে টিম টাইগার্স।





আধুনিক সময়ের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ জিততে হলে ১৬৭ রান টপকে যাওয়া দলগুলোর জন্য স্বাভাবিক ব্যাপারই। গতকাল বাংলাদেশ দলের জন্য সম্ভব ছিল। এর আগে ১৬৭ এর বেশি রান চেজ করে বাংলাদেশ জিতেছে দুইবার (১৯৪ বনাম জিম্বাবুয়ে, ২১৫ বনাম শ্রীলঙ্কা)।
এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টার্গেট টপকানো কেন গেলনা? বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল দিয়েছে ব্যাখ্যা, ‘দেখেন ১৬৭ রানটা দেখে মনে হয় যে চেজ করার মতো, অবশ্যই চেজ করার মতো। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে পাকিস্তান সিরিয়াস বোলিং অ্যাটাক। অন্য দলের জন্য ১৮০-১৯০ যা হয় পাকিস্তানের জন্য ১৬৫ তা-ই। ১৬৭ করতেও আপনাকে ভালো খেলতে হবে। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল যে হয়ে যেতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা যখন ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারালাম তখনই পিছিয়ে গেলাম।’