কে থামাবে মহম্মদ রিজওয়ানকে? নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর আবারও সেই প্রশ্নটা জোরালো হল। কারণ ৫০ বলে রিজওয়ানের অপরাজিত ৭৮ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশকে ২১ রানে হারিয়ে দিল পাকিস্তান।
শেষ তিনটি ম্যাচে দু’বার সেরার ট্রফি পেয়ে রিজওয়ান বললেন, ‘কঠোর পরিশ্রম করি, বাকিটা আল্লাহের উপর ছেড়ে দিই।’ শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশকে হারানোর পর পাকিস্তানের সেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় রিজওয়ান বলেন, ‘আমার জন্য এটা গর্বের মুহূর্ত। আমরা পুরো বিষয়টা সহজভাবে নিই। এটা ব্যাটিংয়ের পক্ষে ভালো পিচ। আমাদের মনে হয়েছিল যে ভালো খেললেও ১০-১৫ রান কম করেছি (প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ১৬৭ রান তুলেছিল পাকিস্তান)।
ওই রানের পুঁজি রক্ষা করার ক্ষেত্রে বোলাররা ভালো কাজ করেছে।’ রিজওয়ান আরও বলেন, ‘আমি বরাবর কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করি। বাকিটা আল্লাহের উপর ছেড়ে দিই। এই মাঠের (ক্রাইস্টচার্চের কয়েকটা দিকের বাউন্ডারি বড়। তবে বল কেমন, তার ভিত্তিতে আমরা খেলছিলাম। কোনও পরিকল্পনা না থাকলে কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’ ঠান্ডার মধ্যে শুক্রবার টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
প্রথম উইকেট বাবর আজম এবং রিজওয়ান ৫২ রান যোগ করলেও ব্যাটিং পিচের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে পারেনি পাকিস্তান। অষ্টম ওভারের প্রথম বলেই পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবরকে আউট করে দেন মেহদি হাসান মিরাজ। তারপর শান মাসুদ রানের গতি বাড়িয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে এগিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি। কিন্তু শান আউট হওয়ার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান।
সেভাবে আগ্রাসী না হওয়ায় ওভারপিছু রানরেট সাতের আশপাশেই ঘোরাফেরা করতে পারে। ডেথ ওভারে (শেষ চার ওভার) আচমকা চাঙ্গা হয়ে ৫১ রান তোলে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ধাক্কা সইতে হয় মুস্তাফিজুর রহমানকে। শেষ দু’ওভারে ২৯ রান দেন। সবমিলিয়ে চার ওভারে ৪৮ রান দেন মুস্তাফিজুর। তবে দারুণ বল করেন তাসকিন আহমেদ। ১৯ তম ওভারে ১০ রান দেওয়ার পরও নিজের কোটার চার ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচ করেন।
নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান মিরাদ, হাসান মেহুমদ এবং নাসুম আহমেদ। সেই রান তাড়া করতে মেহদিকে ওপেন করতে পাঠায় বাংলাদেশ। যে কাজটা এশিয়া কাপে করেছিলেন টাইগাররা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে সেই চাল কাজে দেয়নি। ব্যর্থ হন মেহদি। বাকি বাংলাদেশের ব্যাটাররাও সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। তুলনামূলক মহম্মদ ওয়াসিমের দুটি ওভার ছাড়া পাওয়ার প্লে’তে টাইগারদের জীবন দুষ্কর হয়ে ওঠে।
তারপর কিছুটা চেষ্টা করেন লিটন দাস (২৬ বলে ৩৫ রান) এবং আফিফ হোসেন (২৩ বলে ২৫ রান)। কিন্তু ১২.৩ ওভারে লিটন আউট হতেই বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামে। ৮৭ রানে দুই উইকেট থেকে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় আট উইকেটে ১১৯ রান। তারপর ইয়াসির আলি ২১ বলে অপরাজিত ৪২ রান করলেও কোনও লাভ হয়নি। ২১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন ওয়াসিম।
দুটি উইকেট নেন মহম্মদ নওয়াজ। একটি করে উইকেট পান হ্যারিস রউফ, শাদাব খান এবং শাহনওয়াজ দাহানি। কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত প্রদান করুন