মাত্র পাওয়া : বাদ পড়ার দাঁড় প্রান্তে মুস্তাফিজ; আর আটো চয়েস নেই ফিজ

এই তো সদ্যই ইএসপিএনক্রিকইনফো একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে টি-টোয়েন্টিতে সেরা স্লোয়ার পেসার বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। সেখানে টাইগার এই পেসারের ভালোই প্রশংসা করেছে ওয়েবসাইটটি।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

তবে সাম্প্রতিক সময়ে মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স সেরাদের কাতারে তো নেই-ই, বরং বিরক্তি ধরিয়ে দিচ্ছে দর্শকদের। গত এক বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, এই পেসার উইকেট পেলেও বল হাতে বেশ বিবর্ণ। গত এক বছরে ন্যূনতম ১০ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বাজে গড় মুস্তাফিজের।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

গত ১ বছরে ২১ ম্যাচে ১৮ উইকেট পাওয়া মুস্তাফিজের টি-টোয়েন্টিতে গড় এই সময়ে ৩৩ এরও বেশি। ইকোনমি রেটও টাইগার অন্য সব পেসারের চেয়ে বেশি ৮.৬৬। এ ছাড়াও মুস্তাফিজের পাওয়া ১৮ উইকেটের ১০টিই এসেছে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

অথচ এই মুস্তাফিজকেই দলের সেরা বোলার এবং অটোচয়েজ বলেই বিবেচনা করছে দেশের ক্রিকেটের হর্তাকর্তারা। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে মুস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, আসলে মুস্তাফিজ তো আনডাউটেডলি আমাদের ফার্স্ট চয়েজ, বেস্ট বোলার। এখন আমার ধারণা, সে ফিরবে। তার কামব্যাক করা উচিত।

কিন্তু মুস্তাফিজের এই কামব্যাক আর কবে হবে। গেল এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের ভালো ইকোনমি রেট বা পারফরম্যান্সের আলোচনায় আছে মিরপুরের স্টেডিয়াম। এখানে ৪ ম্যাচে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইকোনমিতে বোলিং করেছে এই পেসার।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

কিন্তু দেশের বাইরে গেলেই দেদারসে রান বিলোচ্ছেন এই পেসার। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের আজকের ম্যাচে (৭ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। শেষ ২ ওভারেই দিয়েছেন ২৯ রান। কেবল রান বিলানো নয়, মুস্তাফিজের বোলিংয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের জন্য কোনো বিপদের চিহ্নও দেখা যায়নি।

কেবল আজ পাকিস্তান নয় সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের বাইরে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ৮, ৯, ১০ এর বেশি ইকোনমিতে বোলিং করছেন মুস্তাফিজ। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে তো ৪ ওভারে ৫০ রান হজম করার লজ্জাও পেয়েছেন এই পেসার।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

মুস্তাফিজের এমন বিবর্ণ বোলিংয়ের জন্য এশিয়া কাপের সময় টাইগার টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ বলেছিলেন, অটোচয়েজ প্রথা ভাঙার সময় হয়েছে। গেল ১৫-১৬ ম্যাচে ও (ফিজ) ভালো করতে পারছে না। এটা ভয়ের কারণ। তবে বিশ্বাস আছে সে কামব্যাক করবে।

ঘরের বাইরে অকাতরে রান বিলানো ‘অটোচয়েজ’ মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে প্রথাটা কবে ভাঙা হবে? সেই সময়টা কী এখনও আসেনি, নাকি বিশ্বকাপ পর্যন্ত মুস্তাফিজের বিরক্তি ধরানো রান বিলানো দেখতেই হবে সমর্থকদের?