বাংলাদেশ সাবেক সফল দলপতি। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এই অবস্থানে নিয়ে আসার পেছনে বাংলাদেশ দলের সাবেক এই ক্যাপ্টেনের অনেক বড় অবদান রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সেরা সফলতম ফার্স্ট বোলাদের মধ্যে একজন মাশরাফি বিন মর্তুজা।





বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হিসেবে ধরা হয় মাশরাফিকে। আজ তার ৩৮ তম জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের আজকের এই দিনে নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন মাশরাফি।





আক্রমণাত্মক, গতিময় বোলিং দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকতেই তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজর কেড়েছিলেন, যিনি কিনা তখন দলটির অস্থায়ী বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। রবার্টসের পরামর্শে মাশরাফীকে বাংলাদেশ এ-দলে নেয়া হয়।





বাংলাদেশ এ-দলের হয়ে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেই মাশরাফী জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। ৮ নভেম্বর, ২০০১ এ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে অভিষেক হয় মাশরাফির। অভিষেকেই জাত চিনিয়ে দেন মাশরাফি। ১০৬ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ছিলেন তার প্রথম শিকার।





একই বছর ২৩শে নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফীর অভিষেক হয় অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফের সাথে বোলিং ওপেন করে তিনি ৮.২ বলে ২৬ রান দিয়ে তুলে নেন ২টি উইকেট। এরপর থেকেই শুরু হয় মাশরাফির ক্রিকেট ক্যারিয়ার।





২০০৯ সালের জুন মাসে মোহাম্মদ আশরাফুলের জায়গায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম বারের মত অধিনায়কের দায়িত্ব পান মাশরাফি। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে নিজের প্রথম ম্যাচেই হাঁটুতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।





ঐ খেলায় বাংলাদেশ জয়লাভ করে কিন্তু মাশরাফী এই চোটের কারণে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠের বাইরে ছিলেন। এমনকি ইনজুরির কারণে ঘরের মাঠে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি তিনি।





পরবর্তীতে ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের সাথে হোম সিরিজে তিনি পুনরায় অধিনায়কত্ব পান। এরপর থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশের সোনালী দিন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।





তার অধিনায়ক করতেই ঘরের মাঠে পাকিস্তান ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জয় লাভ করে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের ৬ মার্চ ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়েন মাশরাফি।