সারা বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সাকিব আল হাসান পরিচিত মুখ। আইপিএল-বিগব্যাশ থেকে শুরু করে পিএসএল, সিপিএল- সব জায়গাতেই নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে মাতিয়েছেন সাকিব। চলমান ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে খেলছেন সাকিব। বল হাতে বরাবর ভালো করলেও ব্যাট হাতে মিশ্র অভিজ্ঞতা হয়েছে এ অলরাউন্ডারের।





আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব আল হাসান চলমান ক্যারিবিয়ান টি-টোয়েন্টি লিগেও (সিপিএল) নিয়মিত শিকার করেছেন উইকেট। তবে ব্যাট হাতে দির্ঘদিন থেকে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা সাকিব এ টুর্নামেন্ট কাটিয়েছেন মিশ্র অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে।





প্রথম দুই ম্যাচে জ্যামাইকা তালাওয়াজ ও সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। পরের দুই ম্যাচে অবশ্য ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়ান। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৩৫ রান করার পরের ম্যাচে বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে করেন অর্ধশতক। এ দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে ম্যাচসেরাও হন তিনি।





তবে পরের দুম্যাচে ফের ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন সাকিব। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রয়্যালসের বিপক্ষে ১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। দলও যায় হেরে। ফাইনালে উঠার দ্বিতীয় সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি তার দল। দ্বিতীয় প্লে-অফে তালাওয়াজের বিপক্ষে গায়ানার হারের দায় অনেকাংশেই সাকিবের নিষ্প্রভতার ওপর বর্তায়। দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে মাত্র ৫ রান করেই বিদায় নিয়েছেন সাকিব।





সিপিএলের এবারের আসরে ব্যাট হাতে তাই সাকিবের পরিসংখ্যান বড্ড সাদামাটা। ৬ ম্যাচ খেলা সাকিব ৬ ইনিংস মিলিয়ে রান করেছেন মাত্র ৯১! এভারেজ ১৫.১৬। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৫০ রানের। শূন্য রানে আউট হয়েছেন দুবার।





সিপিএলে ব্যাট হাতে সাকিবের এমন ধূসর পারফরম্যান্স আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য অশনি সংকেত। গুরুত্বপূর্ণ ওয়ান ডাউন পজিশনে সাকিব রান করতে ব্যর্থ হলে পরের দিকের ব্যাটারদের জন্য হাত খুলে খেলাটা কঠিন হয়ে পড়বে। এশিয়া কাপে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও রান পাননি এ অলরাউন্ডার। সমালোচনা হয়েছিল তার আউট হওয়ার ধরন নিয়েও।





ব্যাট হাতে সময় খারাপ গেলেও বল হাতে সাকিব আগের মতোই ধারালো। ৬ ম্যাচে সর্বমোট ২০.৩ ওভার বল করে ১৪৭ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন ৮ উইকেট। শুধুমাত্র দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তালাওয়াজের বিপক্ষে ম্যাচেই উইকেটশূন্য কাটিয়েছেন সাকিব। আসরে তার সেরা বোলিং ত্রিনবাগোর বিপক্ষে। সে ম্যাচে ২০ রানের বিনিময়ে সাকিব শিকার করেছিলেন ৩ উইকেট।
সিপিএলে সাকিবের দল বিদায় নিয়েছে প্লে-অফ রাউন্ড থেকে। সেই সঙ্গে এবারের মতো শেষ হয়েছে সাকিবের সিপিএল অভিযান। ৭ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে সাকিব ফিরবেন জাতীয় দলের জার্সিতে।