হঠাৎ করেই কোনো কোনো ক্রিকেটারের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয় জাতীয় দল সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের। সাব্বির রহমান ও নাজমুল হোসেন শান্ত তেমন দু’জন ক্রিকেটার। বিসিবির কিছু কর্মকর্তার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়ে গেছেন তাঁরা।





কিন্তু ওই কর্মকর্তারা হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন, মাঠের খেলায় নকল করে পারফরম্যান্স করা যায় না। এর প্রমাণ সাব্বির দিয়ে ফেলেছেন টানা তিন ম্যাচে ওপেনিং করতে নেমে। ৫, ০ ও ১২ রান করা সাব্বিরে তাই মোহভঙ্গ কর্তাদের। ৩০ বছর বয়সী এ ব্যাটারের জন্য একাদশে আর জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে সাব্বিরের জায়গা ঠিক করা হয়েছে রিজার্ভ বেঞ্চে।





২০১৯ সালে জাতীয় দল পর্ব শেষ করে ফেলেছিলেন সাব্বির। গত তিন বছর টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০ কোনো সংস্করণেই ছিলেন না তিনি। একের পর এক শৃঙ্খলা ভেঙে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন। ঘরোয়া লিগে নজর কাড়ার মতো পারফরম্যান্সও ছিল না। তবুও জাতীয় নির্বাচক প্যানেল মুগ্ধ ছিলেন সাব্বিরে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে





৫০ ওভারের ম্যাচে একটি হাফ সেঞ্চুরি (৬২ রান) করেই সুযোগ পান এশিয়া কাপ দলে। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিয়মিত দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখের ব্যর্থতার সুযোগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে সাব্বিরকে খেলানো হয় মিরাজের সঙ্গে। মিরাজ তিন ম্যাচের দুই ইনিংসে রান করলেও সাব্বির প্রমাণ করে দেন জাতীয় দলের মানে আর নেই তিনি।





মিরাজ-সাব্বিরকে টানা তিন ম্যাচে সুযোগ দিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন কোচ শ্রীরাম। আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে গতকালই। নিউজিল্যান্ডে সাব্বিরের জায়গায় খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিরাজ ওপেনিংয়ে থাকছেন কিনা, সে সিদ্ধান্ত নিতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে কোচকে। সিপিএলে দুর্দান্ত খেলা সাকিব তিন নম্বরে ব্যাটিং করলে লিটন কুমার দাস হয়তো ওপেনিংয়ে ফিরে যাবেন।