বাংলাদেশের কিউরেটর, গ্রাউন্ডসম্যানদের নিয়ে দুই দিনের ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেছেন নিউজিল্যান্ডের হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট কর্মকতা আয়ান জোসেফ ম্যাকেঞ্জি। মিরপুর স্টেডিয়ামে ওয়ার্কশপ শেষ হয়েছে শনিবার। আগামীকালই নিউজিল্যান্ডে ফিরে যাবেন তিনি। এর আগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট ভেন্যু পরিদর্শন করেছেন ম্যাকেঞ্জি।





মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপে বাংলাদেশের কিউরেটরদের কাছ থেকে উইকেট বানানোর পদ্ধতি, কৌশল জেনেছেন তিনি। এমনকি গ্রুপে ভাগ করে কিউরেটরদের বিভিন্ন ধরনের উইকেটও বানানোর কাজ দিয়েছিলেন। শনিবার শেষ দিনে নিজে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। গামিনি-আগারওয়ালদের বিসিবি একাডেমি মাঠের উইকেটে গিয়ে দেখিয়েছেন, কি পরিমাণ কীটনাশক ও পানি ছিটাতে হবে উইকেটে।





পরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবিকে উইকেটের উন্নতির জন্য দেওয়া পরামর্শ জানিয়েছেন ম্যাকেঞ্জি। তিনি বলেছেন, বেশি স্পিন বা পেস নির্ভর উইকেট যেন বানানো না হয়। ক্রিকেটারদের উন্নতির জন্য স্পোর্টিং উইকেট বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।





শনিবার ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটের একটা দর্শনের দিকে তাকাচ্ছি, সেটা হল খেলায় যেন ব্যাট ও বলে ভারসাম্য থাকে। আমরা এমন পিচ তৈরি করব না যে বেশি স্পিন করবে, সিম মুভমেন্ট থাকবে। ক্রিকেটারদের উন্নতি, খেলায় সঠিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিনোদন ধরে রাখার জন্য আদর্শ পিচ তৈরি করার চেষ্টা করব।’





স্পোর্টিং উইকেটের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কিউই এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই এমন ভারসাম্যপূর্ণ কন্ডিশন, যেখানে খেলে ক্রিকেটাররা বিশ্বের যে কোন মাঠে খেলার প্রস্তুত হতে পারে।’





নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়ে বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসা করে ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘আমি তোমাদের (বাংলাদেশের) পেসারদের দেখেছি। নিউজিল্যান্ডে যে টেস্টটা জিতেছিলে সেখানে ওরা ওই রকম পিচে খুবই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। পেস ও স্কিল-ও দুটোই ঠিক ছিল। এটা ক্রিকেট পিচ ও মাঠের উন্নতির একটা অংশ। এতে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের উন্নতিটা বজায় থাকে।’