সাকিব তামিম মাশরাফি রিয়াদ মুশফিক। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এখন পরযন্ত সবচেয়ে বড় নাম। এক সময়ে তাদের ছাড়া দল গঠন ছিলো অসম্ভব। বাংলাদেশের অনেক বড় জয়ের নায়ক তারা। ২০০৫ থেকেই তারা দলকে দিয়েছেন অনেক সরনিয় জয়ের সাদ।





সেই পাঁচ জনের মধ্যে সাকিব ছাড়া বাকি চারজনই এখন নেই বিভিন্ন ফরম্যাটে। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তো কোনো ফরম্যাটই খেলছেন না। টেস্ট টি২০ তে নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
খেলার মাঠে বয়স একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক বড় বড় খেলোয়াড়ও এক সময় বিদায় নিয়েছেন।





কিন্তুু সেই খেলোয়াড় যারা তুলে আনেন নির্বাচন করেন দল সাজান তাদের কি অবস্থা?বিশ্বের যে কোনো ক্রিকেট বোর্ডই একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর সভাপতি নির্বাচক বা অনান্য সদস্যের মধ্যে পরিবর্তন আসে। ভারত পাকিস্তান ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেেলিয়া বিশ্ব কাপ জিতলেও সেই প্যানেল পরিবর্তন করে নতুন কাওকে নিয়োগ দিচ্ছে।





বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়ে হয় আসেন। তাই এটা নিয়ে কিছু বলার নেই। যার গ্রহনযোগ্যাতা বেশি তিনিই এই পদে আসবেন এটাই সাভাবিক। কিন্তুু নির্বাচক প্যানেল তো বোর্ড থেকে নিয়োগ পান তাহলে গত ১১ বছরে সেখানে কোনো নতুন মুখ নেই কেনো।





২০১১ ঘরের মাঠে বিশ্ব কাপে বাংলাদেশের খারাপ খেলার কারনে পরবর্তীতে এই পদে আসেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু হাবিবুর বাসার সুমন আকরাম খানদের মতো সাবেক কৃতি খেলোয়াড়েরা। তার ফালাফলও খারাপ হয়নি। দেশের মাটিতে এশিয়া কাপের ফাইনাল বা ২০১৫ সালের বিশ্ব কাপে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপেও বেশ কয়েকবার ফাইনাল খেলেছে। তবে এই সফলতার মুল কারিগর ছিলো বাংলাদেশ দলেও ওই পাঁচ খেলোয়ার এবং মাশরাফির যোগ্য নেতৃত্ব।





কিন্তুু সময়ের সাথে সাথে এরা সবাই ধিরে ধিরে দল থেকে বিদায় নিচ্ছেন। ফলে তৈরী হচ্ছে শুন্যতা। আর এখানে বর্তমান নির্বাচকদের নতুন খেলোয়ার তৈরী করার ঘাটতি চোখে পরছে।





টি২০ তে চার সিনিয়র খেলোয়ার নেই। এই ফরম্যাটই বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে নরবরে। নতুন যারা আসছে তাদের কেওই তেমন সুবিধা করতে পারছেন না।তাহলে সিনিয়রদের এই শুন্যতা কে পুরন করবে?





এটা দেখার দায়িত্ব তো নির্বাচকদের। পাইপলাইনে নতুন খেলোয়ার তৈরি করা তো তাদের দায়িত্ব। ১১ বছর পদে থেকে তা কেন একাজটি করতে পারলেন না?
তাই অনেকেই মনে করেন বোর্ড কর্তা বা নির্বাচক প্যানেলে কিছু পরিবর্তন দরকার। নতুন মুখ আসলে হয়তো তাদের কাজে ভিন্নতা আসবে। বাংলাদেশ দলও আগের চাইতে বেশি সফল হবে। আসলে যেতে হবে সবকিছুরই একটা শেষ আছে। তাহলে এই কথা মেনে নিয়ে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সকল পদে কি পরিবর্তন আসবে?