বাংলাদেশ দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। বিপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করছেন অনেক দিন ধরেই। তার ফলও পেয়েছেন গত জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলে ডাক পেয়েছেন। কিন্তুু সুযোগ পেয়েছিলেন একটি মাএ ম্যাচে। সিরিজের শোষ টি২০ তে ওপেনিংএ নেমে ৬ বলে ২ রান করতে পেরেছিলেন।





তারপর আবার বাদ পরে গেলেন দল থেকে।যেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাত থেকে নিয়েছিলেন অভিষেক ক্যাপ তার সাথেই দল থেকে বাদ পরলেন ইমন।





কিন্তুুু অভিষেকের আগে এই পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে সবারই ছিলো অনেক পরিকল্পনা।সাকিব আল হাসানের মতে ইমনই হয়তো হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নেক্সট বিগ থিং।খুব দ্রুত শট খেলতে পারেন ভালো। হাতের কব্জির ব্যাবহারও চমৎকার। লেগ সাইডে শট খেলতে পারেন ভালো। যাকে নিয়ে এতো আশা একটি ম্যাচ খেলিয়েই তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়াটা কতোটা যুক্তি যুক্ত?





এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের সামর্থ্যের কতোটা বুঝা যায়। তাকে কি আরও কিছু ম্যাচ খেলিয়ে দেখা যেত না? নাকি ইমন এখন টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনাতেই ছিলেন না। শুধু খেলোয়াড় সংকটের কারনেই তাকে জিম্বাবুয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো?
ব্যাটিং পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরামের কথায় কিন্তুু তাই মনে হয়। তার মতে ইমন লেগ সাইডে ভালো হলেও অফ সাইডে তেমন শক্তি শালী নয়। তাহলে এটা কি আগে টিম ম্যানেজমেন্ট জানতো না।





আর একজন খেলোয়ারকে সব দিকে সমান পারদর্শী হতে হবে এটা কেমন যুক্তি?দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল একসময় লেগ সাইডে খেলতে পারতেন না কিন্তুু এখন তো সব দিকেই খেলতে পারছেন।ইমনকেও কি কিছুটা সময় দেয়া যেতো না?





সুযোগ না দিয়ে একজন খেলোয়ার কে এভাবে বাদ দেয়াটা কতোটা যৌক্তিক? এতে তো একজন তরুন খেলোয়াড়ের মনোবল নষ্ট হতে পারে। যদি আসলেই কোনো দুর্বলতা থেকে থাকে তাহলে তাকে আরও সময় দেয়া যেত। পুরোপুরি তৈরি হলেই তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলানো যেতো।





ইমনের জায়গায় শান্ত কে সুযোগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচকদের দাবী শান্ত ঘরোয়া লিগে রান করেছে। তাহলে ইমন ঘরোয়া লিগে শান্তর চেয়ে অনেক বেশি রান করেছেন। আসন্ন বিশ্বকাপে তাকে কি আরও কিছু সুযোগ দেয়া যেতো না নিজেকে প্রমানের?বয়স মাএ ২০ বছর এখনও সময় আছে নিজেকে তৈরি করে আবারও জাতীয় দলে ফেরার। ইমন ফিরবেন এমনটাই আশা করেন সবাই