পিতল এক প্রকারের সংকর ধাতু যা দস্তা ও তামার সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়। পিতলে তামা ও দস্তার পরিমাণে তারতম্য ঘটতে পারে এবং এর ফলে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন ধরনের পিতল তৈরি সম্ভব।





চীনে খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০ অব্দ পূর্বেও পিতলের ব্যবহার দেখা যায়তামার গলনাংক ১০৮৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস, অন্যদিকে দস্তার স্ফুটনাঙ্ক ৯০৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, তাই প্রথমে ক্রুসবলে উচ্চ তাপ প্রয়োগে তামা গলানো হয়।





অতঃপর তরল তামায় যথাযথ অনুপাতে দস্তা যোগ করা হয়। এ পর্যায়ে কিছু দস্তা বাষ্পাকারে নষ্ট হতে পারে। দস্তা মেশানোর পর প্রয়োজন হলে অন্য কোন ধাতু মেশানো যেতে পারে, যেমন সীসা বা অ্যালুমিনিয়াম।





অতঃপর তরল মিশ্রণকে যথাযথ আকৃতির ছাঁচে ঢেলে পিতলের বিলেট বা স্ল্যাব তৈরী করা হয়। কোল্ড-রোলিং পদ্ধতিতে পিতলের পাত তৈরী করা হয়।পিতল এবং ব্রোঞ্জ একই পদার্থ নয়। পিতল হল তামা ও দস্তার সংকর।





সাধারণত পিতলে ৬৭ শতাংশ তামা এবং ৩৩ শতাংশ দস্তা থাকে। তবে এতে ৫৫ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত তামা থাকতে পারে। অন্যদিকে দস্তার পরিমাণ ৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। তামার পরিমাণ বেশি হলে স্বর্ণালী পিতলে গোলাপী আভা দেখা দেয়। অন্যদিকে দস্তার অনুপাত বাড়ানো হলে রূপালী আভা দেখা দেয়।





পিতলের সংকরায়নে সাধারণত কিছু সীসা যুক্ত করা যেতে পারে। পিতলে প্রায় ২ শতাংশ সীসা যুক্ত হতে পারে। সীসা যুক্ত করা হলে পিতলের যান্ত্রিক উপযোগিতা বৃদ্ধি পায়। [১] সীসা ছাড়াও পিতলে অন্য ধাতু বা মৌল হিসেবে সামান্য সিলিকন, ম্যাঙ্গানিজ, আর্সেনিক, ফসফরাস ও অ্যালুমিনিয়াম থাকতে পারে।ধারণা করা হয় পিতল প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মূর্তিপূজকরা পিতলের মূর্তি তৈরী করে মন্দিরে এবং ঘরে রাখে। বুদ্ধের অনেক মূর্তি পিতল দিয়ে তৈরী। সোনার মত উজ্জ্বল দেখতে বলে পিতলকে অলঙ্করণে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া স্বল্প ঘর্ষণের বস্তু যেমন তালা, গিয়ার, বেয়ারিং, দরজার হাতল, গুলির খোসা ও ভাল্বে, পিতল দিয়ে বারা তৈরী করা হয়। বাদ্যযন্ত্রে এবং বিদ্যুতের ও পানির লাইনের কাজে এটিকে ব্যবহার করা হয়।
সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়ায় আসার সাথে সাথে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটি টি আপনারা নিচে গেলেই দেখতে পাবেন।