নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ও বিশ্বকাপে মুস্তাফিজুর রহমানকে সেরা ছন্দে দেখতে চায় টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট।





দেশের বাইরে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারছেন না মুস্তাফিজুর রহমান।বাশার বলেন, “ও (মুস্তাফিজ) কিন্তু বিভিন্ন ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছে।” বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের সবচেয়ে বড় অস্ত্র মুস্তাফিজুর রহমান। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এই বোলারের ওপর টাইগারদের নির্ভরতা অনেক বেশি।





তবে সাম্প্রতিক সময়ে চেনা মুস্তাফিজের দেখা মিলছে না।বিশেষ করে দেশের বাইরে দ্য ফিজ যেন একেবারে ম্লান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের দুই ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৩০ রান খরচায় মুস্তাফিজ ছিলেন উইকেটশূন্য।





ডেথ ওভারে দলের ভরসা হতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওভারপ্রতি ৮ রান খরচায় চার ওভারে একটি উইকেট পান এই পেসার।
মুস্তাফিজের মতো বোলারের কাছ থেকে দলের প্রত্যাশা যে আরও বেশি।আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আশাবাদী হাবিবুল বাশার সুমন।নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের ভাষ্য,





“মুস্তাফিজ আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়, পরীক্ষিত খেলোয়াড়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরে আমরা যতটুকু চাই সেটা হয়তো হচ্ছে না।কিন্তু আমি মনে করি,





ওর সেরাটা এখনও দিতে পারে। সেরাটা দেওয়া এখনও বাকি। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে এইরকম একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় খুব দরকার।
বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।”নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ও বিশ্বকাপে আগ্রাসী মুস্তাফিজকে দেখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।





টি-টোয়েন্টিতে দেশের মাটিতে মুস্তাফিজের ইনোনমি সাড়ে ছয়েরও কম, আর বোলিং গড় ১৭.১৭।তবে প্রতিপক্ষের ভেন্যুতে ইকোনমি ও গড় যথাক্রমে ৯.০৬ ও ২৬.০৩।
কাজেই দেশের বাইরে মুস্তাফিজের সামনে এখন ভালো করার চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপের আগে মুস্তাফিজ নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছেন বলে জানালেন বাশার।





বাশার বলছিলেন, “ও (মুস্তাফিজ) কিন্তু বিভিন্ন ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছে। ওর স্টক ডেলিভারি ছিল স্লোয়ার, কাটার- এগুলো নিয়েই শুধু নির্ভর করে না। কারণ ও জানে যে, দেশের বাইরে ঐটা অতটা কার্যকরী হয় না, যতটা উপমহাদেশে হয়। কিছু ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছে, আশা করি সেটা নিয়ে বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে।”