
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যর্থতা মানেই যেন সমালোচনার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের মহড়া। কোন ব্যাটার বাজে শট খেলে আউট হলে কিংবা বোলার প্রত্যাশা মেটাতে না পারলে তাকে নিয়ে সমালোচনা হয়। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও বাংলাদেশে সেটা খানিকটা আগ্রাসী ধরনের। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়শই তাদেরকে ট্রলের মুখে পড়তে হয়।





গঠনমূলক সমালোচনার বাইরে বিভিন্ন মিডিয়াও সমর্থকদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছেন। এসব ট্রল নিয়ে অনেক ক্রিকেটার অনেক সময় নিজেদের বিব্রতবোধের কথাও বলেছেন। এবার মিডিয়াকে এক হাত নিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশের এই টিম ডিরেক্টর জানান, মিডিয়ার কারণে ক্রিকেটাররা স্বাধীনভাবে ক্রিকেট খেলতে পারেন না।





ডেইলি স্টারের ননস্ট্রাইকার্স এন্ড অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘মিডিয়াতে কথা এখন এমনভাবে ছড়িয়ে যায় যেমন এখন আমাদের ক্রিকেটাররা সাক্ষাৎকার দিতে ভয় পায়। একটা কথা বলবো, এমন টুইস্ট হবে ক্যারিয়ার শেষ।’





‘এমন হয়েছে যে মিডিয়া তাদের ক্যারিয়ার নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা একেবারেই ভুল। তারপর আমি যে বললাম তারা স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারছে না এটা কিন্তু ফেসবুক, ইউটিউব এবং মিডিয়ার কারণে। আমি একেবারে সোজা কথা বলে দিলাম।’





মিডিয়া দেখে ক্রিকেটাররা কতটা ভয় পান সাকিব আল হাসানকে দিয়ে সেটার উদাহরণ দিয়েছেন সুজন। বাংলাদেশের এই টিম ডিরেক্টর জানান, সাকিবের মতো ক্রিকেটাররাও এখন সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পান। কারণ সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হলে মানুষ কি বলবে সেটার ভয় কাজ করে তাদের মাঝে। এদিকে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খানেরও উদাহরণ টেনেছেন তিনি।





সুজন বলেন, ‘সাকিবের মতো ছেলে সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাচ্ছে। সাকিব তো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নাম। ও (সাকিব) এখন সিদ্ধান্ত নিতে চিন্তাবোধ করে যে সুজন ভাই এটা করবো কিনা বা ঠিক হবে কিনা, মানুষ কি বলবে। আমি যদি এটা করাই, রিস্ক নেই, আমি যদি ওরে বল করাই আর তখন যদি মার খায় তাহলে সবাই বলবে সাকিব কেন ওরে বল করিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইমরান খান কিভাবে দুর্দান্ত অধিনায়ক হয়েছে। ওর অধিনায়কের মধ্যে ছিল জুয়া। এই জুয়া খেলার মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটারের একটারও নেই। মাঝে মধ্যে সেরকম পরিস্থিতিতে জুয়া খেলতেই হতে পারে, যে আপনার নিয়মিত বোলার নন তাকে চেষ্টা করতে হতেই পারে। কিন্তু আমি সাহস পাচ্ছি না।’