চ্যাম্পিওন ট্রফিতে সাকিবকে বাদ দেয়ার গোপন তথ্য ফাস!

20220908 220809

ইংল্যান্ডে চলছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সাকিবের ব্যাটটা যেন চলছেই না বহুদিন ধরে। আয়ারল্যান্ডে বিবর্ণ সাকিব। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুতেও সাকিবের ব্যাট মলিন।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

ইংল্যান্ডের সাথে ১০ রান করার পর অস্ট্রেলিয়ার সাথে ২৯ রান। প্রথম ম্যাচে ৮ ওভারে ৬২ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূণ্য। ২য় ম্যাচে বৃষ্টির আঘাতহাণির ১৬ ওভার হবার ইনিংসে বলটা ধরতেও পারেন নি।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

ইংল্যান্ডে বোর্ড কর্তাদের চাপা ফিসফিসানি। সেই ফিসফিসানিকে সিদ্ধান্তে রূপ দিয়ে কার্ডিফে রওনা হওয়ার আগে বোর্ড সভাপতি ঢাকা থেকে জানিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবকে বাদ দিতে হবে।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

ফিট সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশের ওয়ানডে দল করাটা যেন অনেকটাই সুসাইড করার সমান। কোচ চন্ডিকা হাথুরুর সাথে অধিনায়ক মাশরাফির অনেক সময় অনেক মত হয়তবা মিলেছে হয়তবা অনেক সময় মিলেনি। কিন্তু যে সময় মিলেছে তার মধ্যে হয়ত এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি হয়ে থাকবে। ঢাকা থেকে মেসেজ পাওয়ার পর হাথুরুসিংহ নিজেই মাশরাফির রুমে গিয়ে বললেন, ‘ম্যাশ, বোর্ড সভাপতি এটা কি বলছেন! সাকিবকে কিভাবে বাদ দেওয়া সম্ভব?’

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

মাশরাফিও বলেন, ‘আমিও শুনেছি। শোনার পরই তোমার সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলাম। এটা কোনো কথা হলো!’
হাথুরু বললেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্টের সাথে আমি কথা বলব। আমার কথা না মানলে আমি রিজাইন করব। তুমি আমাকে সাপোর্ট করবে তো?’
মাশরাফি বললেন, ‘করব না মানে? সাকিবকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।’

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

কোচ-অধিনায়কের ঐক্যজোটের ফলে টিকে গেলেন সাকিব। পরেরটা আমরা প্রায় সবাই জানি। সেটি বাংলার ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। ২০০৫ সালে আশরাফুলের ব্যাট দিয়ে অস্ট্রেলিয়া বধের রচনা যদি কার্ডিফের রূপকথার প্রথম অধ্যায় হয়, তবে পরের অধ্যায়টা লেখা হয়েছিলো মাহমুদুল্লাহ আর সাকিবের ব্যাটে। ৩৩ রানে ৪ উইকেট নেই।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

তখনই দলের হাল ধরলেন সাকিব আর মাহমুদুল্লাহ। এদের ২২৪ রানের জুটিতে যেই জয়টা এলো তা থাকবে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ের তালিকার একদম উপরে।

সেঞ্চুরির পর মাহমুদউল্লাহর উদযাপনটা কারই বা মনে থাকবে না? সেই উদযাপনটা কোনো অংশে তার ব্যাটিংয়ের চাইতে কম দর্শনীয় না৷ তবে সাকিবের উদযাপনটা একদম নিরুত্তাপ।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

এডাম মিলনেকে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরির পরও তার উদযাপনে ছিলো না কোনো উল্লাস। ম্যাচের আগের নাটকের কথা অজানা থাকবার কথা নয়। সেই রাগটাই হয়তবা ঝেড়েছেন সেঞ্চুরির উদযাপনে আউট হবার আগে ১১৪ বলে ১১৪ রান। আউট হবার পর ১১৫ বলে ১১৪ হওয়াতে যা হলো তা হলো স্ট্রাইকরেটটা কমে ১০০ থেকে ৯৯.৮৭ হয়ে গেলো।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

ঘটনা ২: ২০১৭ সালে সাউথ আফ্রিকা সিরিজের সময়ের কথা। বিজয় তখন জাতীয় লীগে ডাবল সেঞ্চুরি মেরেছিলো। তার জন্য বিসিবি বস সরাসরি বললো, লেফট রাইট কম্বো বিবেচনায় দলে ডাক পাবেন এনামূল হক বিজয়।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

এমনকি দল ঘোষণার দিন বিজয়কে সবাই অভিনন্দনও জানালো। কিন্তু দল ঘোষণার সময় দেখা গেলো বিজয় দলতো দূরে থাক, স্ট্যান্ডবাই লিষ্টেও ছিলো না।

তখন মিডিয়াতে খবর আসলো কোচ নাকি নিজেই বলেছে বিজয়কে দলে না নেবার জন্য। তার যায়গায় যাতে সৌম্য সরকারকে নেওয়া হয়। ইঞ্জুরির কারণে সৌম্য ওয়ানডে আর টেস্ট নিয়মিত না খেললেও ২টি টি২০ ম্যাচই খেলেছিলো।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

আর দুটি ম্যাচেই সৌম্যর রান ছিলো যথাক্রমে ৪৭ ও ৪৪ রান। অন্যদিকে বিসিবি সভাপতি যেই বিজয়ের জন্য এত তদবির করলো তাকে আয়ারল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে খেলতে পাঠাইসিলো। সেই সিরিজে তার রানগুলো ছিলো যথাক্রমে ২০,৫,১৩ রান।

এজন্যই আমি প্রায়শই বলি এই সিস্টেমের জন্য চন্ড্রিকা হাথুরুসিংহে হলো পার্ফেক্ট কোচ। তার মতন কোচ বাংলাদেশের খুব দরকার। সে শুধু সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করতেই পারে না, সিস্টেমকে ভূলও প্রমাণ করতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা বাঙালী, আর বাঙালী মানেই মাথায় বুদ্ধি বেশী।

You May Also Like