বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন টেস্ট ও ওয়ানডে দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। একটি গণমাধ্যমকে দেয়া তার সাক্ষাতকারে উঠে এসেছে কীভাবে ক্রিকেটারদের সারাক্ষণ ধমক ও বকাঝকার ওপর রাখা হয়।





সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো এটাও বলেছেন, তিনি মনে করেন, বাইরের এই চাপ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলছে। তার এই কথাগুলো হয়তো পছন্দ হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।





এ ব্যাপারে ডমিঙ্গোর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।
নিজ কার্যালয়ে জালাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ডমিঙ্গোর এমন আচরণ কাম্য নয়। আমি সভাপতিকে (নাজমুল হাসান) জানিয়েছি। তাকে নোটিশ দেওয়া উচিত। তবে এটা শোকজ নোটিশ না। তাকে বিষয়গুলো ক্লিয়ার করতে হবে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। তারপর তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’





ক্রিকেটারদের চাপে রাখা হয়, এই অভিযোগ অস্বীকার করে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমি কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে সিরিজ চলাকালীন কোনো কথা বলি না। সে আমাকে না অন্য কাউকে উদ্দেশ করে বলেছে, সেটা আগে জেনে নিই৷ তবে এটা ইতিবাচক কিছু নয়। তাকে এসব পরিষ্কার করতে হবে। যে ভাষা ডমিঙ্গো ব্যবহার করেছে ‘‘ধমক দেওয়া হয়’’, এটা আপত্তিকর।’





দুই দিন আগেই ক্রিকেট বোর্ড ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরিয়ে দিয়েছে। এখন থেকে তিনি শুধুমাত্র টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য নতুন কোচিং প্যানেল বেছে নিয়েছে বিসিবি। বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন ডমিঙ্গো।
তবে টি- টোয়েন্টির দায়িত্ব হারালেও অন্য একটা দায়িত্ব বেড়েছে ডমিঙ্গোর। এখন থেকে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটও কিছুটা নজর দেবেন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের কীভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় তাদের ফর্মজনিত সমস্যা ও টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর সমাধানে আসবেন, সেদিকেও তিনি মনোযোগ দেবেন।





সেই কারণেই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট এখন থেকে নিয়মিত তিনি অনুসরণ করবেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।





তবে সিদ্ধান্তে অখুশি নন ডমিঙ্গো, উল্টো তিনি বললেন, খুবই, খুবই শান্তিতে আছি। এটা কোনো বিষয়ই নয়। আমি টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছি। বোর্ড ভাবছে, এখন অন্য কাউকে দায়িত্ব দিয়ে দেখতে। বোর্ড যদি মনে করে এটাই দলের জন্য ভালো, আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার এত অহংকার নেই।