
সাত বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকেই বাজিমাত করেছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের তারকা ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান। হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন বিশ্ব ক্রিকেট দুনিয়ায়।
দেশের মাটিতে কাটার-স্লোয়ারে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছেড়েছেন এই টাইগার ক্রিকেটার। ভবিষ্যতের দুর্দান্ত এক পেসারের ছবিই তখন তার মধ্যে দেখেছিলেন অনেকে। কাটার মাস্টার তকমাও যোগ হয়ে গিয়েছিল তার নামের পাশে।
কিন্তু সাত বছরের ক্যারিয়ারে মুস্তাফিজ কী প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন? উত্তর এখন সবারই জানা । পেসার হিসেবে কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় কি যেতে পেরেছেন তিনি? সম্ভাবনার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই, তাই বর্তমান সময়ের বিশ্বসেরা পেসারদের কাতারেও নেই এই তরুণ পেসার।
অথচ তারই সমসাময়িক অন্যান্য দেশের ফাস্ট বোলাররা নিজেদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রমাণ করেছেন। ভারতের জাশপ্রিত বুমরাহ, দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদিদের নাম এখন বিশ্বসেরাদের কাতারে উচ্চারিত হয়। সেখানে মুস্তাফিজের নামটা কারো মুখেই উঠে আসে না।
বুমরাহ-রাবাদারা তিন ফরম্যাটেই সমানতালে পারফর্ম করে যাচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশের ২৬ বছর বয়সী এই পেসার টেস্ট খেলতেই চান না। যেখানে ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স এনে দিচ্ছেন বুমরাহ-আফ্রিদিরা।
নিশ্চিতভাবেই শুরুর সেই ছন্দে আর পাওয়া যাচ্ছে না কাটার মাস্টারকে। বাঁহাতি এই পেসার অবশ্য এমনটা মনে করেন না। স্তাফিজ বলেছেন, প্রতিদিনই উন্নতির চেষ্টা করছেন তিনি। শেখার চেষ্টা করছেন। ভালো বোলারদের মতো হতে চান।
আগের মুস্তাফিজকে কেন পাওয়া যাচ্ছে না? জানতে চাইলে গায়ানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তরুণ বলেছেন, ‘আপনারা না পেতে পারেন (আগের মুস্তাফিজ)। আমি মনে করি, আমার দিক থেকে, আমার অপারেশনের পর এক-দেড় বছর হয়তো তেমন ভালো ছিল না পারফরম্যান্স।
শেখার তো শেষ নেই। উন্নতি প্রতিদিন করা যায়। আমি চেষ্টা করছি আরো উন্নতি করার জন্য। কী করে অন্য ভালো বোলারদের মতো হওয়া যায়। ফিটনেস বলেন, কোচদের পরামর্শ নেওয়া বলেন, আমি শিখছি আরো।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হয়ে ১৫ টেস্টে ৩১ উইকেট, ৭৪ ওয়ানডে খেলে ১৩১ উইকেট ও ৬৫ টি-২০ ম্যাচে ৮৭ উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। ডমিনিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুইটি টি-টোয়েন্টিতেই মুস্তাফিজ ছিলেন। উইকেটশূন্য।