
১৭৪ রান পিছিয়ে প্রথম ইনিংসে। বাংলাদেশের করা ২৩৪ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ৪০৮ রানে। লিড নিতে হলে তো আগে ১৭৪ রান পার হতে হবে! কিন্তু সেটা কতদুর সম্ভব হবে, তা বলা মুস্কিল।
কারণ, যাদের ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের সেই তামিম ইকবাল-মাহমুদুল হাসান জয়-এনামুল হক বিজয়রা যারপরনাই হতাশ করেছেন। বাংলাদেশ দলকে রীতিমত বিপদের মুখে ফেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তারা তিনজন।
বাংলাদেশের ব্যাটাররা ব্যাট করতে নামলে হয়তো ভুলে যান এটা টেস্ট নাকি ওয়ানডে। একের পর এক বিপজ্জনক শট খেলেন এবং প্রতিটি বলেই শট খেলতে হবে তামিমদের। যে কারণে খুব দ্রুত উইকেটও দিয়ে আসছেন তারা। সবয়ে বড় কথা কেমারে রোচের দুর্দান্ত বোলিং দারুণ বিপদে বাংলাদেশ।
১৭৪ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার পর তামিমদের কাছ থেকে যেটুকু ধৈর্য্য আশা করেছিল সবাই, তার ছিটেফোটাও দেখা যায়নি। বরং, কেমার রোচের ইনসুইংগার-আউটসুইংগার বাছ-বিচার না করে শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি।
মাত্র ৮ বল খেলে ৪ রান করে দলীয় ৪ রানের মাথায় উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন তামিম। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাধেন মাহমুদুল হাসান জয়। কয়েকটি ভালো শট, কয়েকটি শঙ্কার শটও খেলেন তিনি।
কেমার রোচকে ৭ম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারার পরের বলেই তার ইনসুইংগার বলটিকে ঠেকাতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে বসেন। বল চলে যায় থার্ডম্যানে জার্মেই ব্ল্যাকউডের হাতে। ১৩ রান করে আউট হয়ে যান জয়।
দলীয় ৩২ রানের মাথায় কেমার রোচের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন এনামুল হক বিজয়। তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে হলেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না বিজয়। মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে গেলেন।
বিজয় আউট হতে না হতেই আবার নেমে আসে বৃষ্টি এবং খেলা বন্ধ হয়ে যায় এ সময়।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৮.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২। ১০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এখনও ১৪২ রান পিছিয়ে বাংলাদেশ।