
ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকা লিটন দাস চলতি বছর প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন৷ টেস্টে সাকিবের ডেপুটির এমন কীর্তিতে গর্বিত মুশফিকুর রহিম৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি গর্ব হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি৷
মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, “২০২২ সালে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১ হাজার রান করেছে লিটন দাস। অভিনন্দন ভাই, তোমাকে নিয়ে অনেক গর্ব হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বড় মাইলফলক অপেক্ষা করছে তোমার জন্য। তোমাকে ব্যাট করতে দেখা কারা চোখের জন্য তৃপ্তিদায়ক”।
ক্রিকেট জগতে যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট। এই ম্যাচটি টি-২০ বা ওয়ানডে ক্রিকেটর মত উত্তেজনাপূর্ণ নয়। টেস্ট ক্রিকেট মানেই ধৈর্য্যর পরিক্ষা।
আর এখানেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বাজে বছর এটি। চলতি বছরে মনে রাখার মত তেমন বড় কিছু করতে না পারলেও অনেক লজ্জার রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ দল। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক হয়েছিলো অনেক আগেই। বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ২০০০ সালে টেস্ট পরিবারভূক্ত হয়।
ব্যর্থতার পরেই আসে সফলতা। সেটাই মনে রেখেছিলেন টাইগার ক্রিকেটার লিটন দাস। চলতি বছরে অন্য ক্রিকেটারদের থেকে অনেকটা এগিয়ে আছেন তিনি। এরই মধ্যে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকা প্রকাশ করেছে দেশের জনপ্রিয় অন লাইন নিউজ পোর্টাল স্পোর্টসআওয়ার২৪।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে চলতি বছর খেলা আগের ১৫ ম্যাচের ২০ ইনিংসে ৪৯.৮০ গড়ে ১ হাজার রান তুলেছেন লিটন। ৬ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ৩ সেঞ্চুরিও আছে তার নামের পাশে। সর্বোচ্চ ১৪১ রানের ইনিংসটি খেলেন গত মাসে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
শীর্ষ দশে থাকা অন্যরা হলেন পাকিস্তানের ইমাম উল হক (৯ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ৮৬৭ রান), আরব আমিরাতের চিরাগ সুরি (২৩ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ৭৭১ রান), শ্রীলঙ্কার নিশাঙ্কা (২০ ম্যাচের ২১ ইনিংসে ৭৬১ রান), উসমান খাজা (৫ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ৭৫১ রান), নেপালের দিপেন্দ্র আইরি (২৩ ম্যাচের ২২ ইনিংসে ৭১৮ রান), ওমানের জতিন্দর সিং (২৪ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ৭১৮ রান) ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা (১৬ ম্যাচের ২২ ইনিংসে ৭১২ রান)।