
অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ভরাডুবি হয়েছিল। দ্বিতীয় টেস্টে তেমনটা হয়নি। তবে খুব ভালোও যে হয়েছে, তেমন নয়। মাত্র ২৩৪ রানেই আটকে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
অথচ তামিম ইকবাল ভালো শুরু করেছিলেন। ৯ বাউন্ডারিতে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে তিনি ফেরেন সাজঘরে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় টাইগাররা।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয় ২৬ ও ২৩ রান করে শুরুটা ভালো করে তামিমের মতোই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। লিটন দাস হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন। কিন্তু তিনিও ৫৩ রানের পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি।
এই ইনিংস বড় করতে না পারার অভ্যাসটা নিয়মিতই ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সও বেশ নাখোশ শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্স দেখে।
তিনি বলেন, ‘তামিম এবং লিটন দারুণ খেলেছে। কিন্তু ওই ৪০-৫০ রান করে তো আর বড় স্কোর দাঁড় করানো যায় না। একবার শুরুটা হয়ে গেলে ওদের বড় রান করার প্রয়োজন।’
আগের টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সে তুলনায় ভালো ব্যাটিং করেছেন তামিম-লিটনরা। তবে এবার পিচটাও আলাদা মনে করিয়ে দিলেন সিডন্স।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আজ তুলনামূলকভাবে অনেক ধৈর্য দেখিয়ে বল ভালো ছেড়েছি। প্রথম টেস্টে তো বাইরের বলগুলিও খেলছিলাম। ওরা ভালো বল করেছে, তবে আমরা ব্যাটটা ঠিকমতো করতে পারিনি। এই পিচে ২৩০ (প্রকৃতপক্ষে ২৩৪) একেবারেই ভালো রান নয়।’