বাংলাদেশকে আশার আলো দেখাচ্ছেন এবাদত হোসেন

Untitled design 2022 06 25T162600.739

এবাদত হোসেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাময়ী তরুন একজন বোলার। এমনিতেই বাংলাদেশের পেসারদের জন্য নিজেদের কে গড়ে তোলা বেশ কঠিন। তার পিছনে দায়ী দেশের কন্ডিশন। দেশের পিছগুলো তৈরী করা হয় স্পিনারদের কথা চিন্তা করেই। এসব কারনেই বাংলাদেশ দলে যত পেস বোলার খেলে গেছেন এবং বর্তমানে খেলছেন তাদের কারও পারফরম্যান্স খুব একাটা আশাব্যঞ্জক নয়। সাদা বলের এই ফরম্যাটে এখনও নেই কারো ১০০ উইকেট।

তবে বিসিবি অনেক দিন ধরেই এবাদত হোসেন আবু জায়েদ রাহী খালেদ আহমেদ বা কামরুল ইসলাম রাব্বি কে দিয়ে চেষ্টা করছে। হয়তো কখনো কখনো কিছুটা সফল হলেও ধারাবাহিক হতে পারছে না কেওই।

বোলিং বাদ দিলও আরও একটা জায়গায় এই পেসাররা খুব একটা সফল নয় আর তা হলো ব্যাটিং। আধুনিক ক্রিকেট দলের সবাই কেই কম বেশি ব্যাট হাতে দাড়াতে হয়।বিপদে কিছু রান করতে হয়। এখানেই আমাদের পোসাররা বেশ পিছিয়ে। আর এবাদত হোসেনে ব্যাটিং দেখলে মনে হয় দুনিয়াতে এর চেয়ে কঠিন কাজ হয়তো আর নেই।সেন্ট লুশিয়া টেস্ট এর আগে এবাদত টেস্ট খেলেছেন ১৬ টি রান করেছেন ১২।

ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ১৫ বার। আর এই এতোগুলো ম্যাচ খেলে ৪ মারতে পেরেছিলেন মাত্র ১ টি। বাংলাদেশের মতো দলে যেখানে শুরুতেই অনেক উইকেট পরে যায় মিডল অর্ডারের দুএক জন ছাড়া কেওই নিয়োমিতো রান পায় না সেই দলের টেল এন্ডারদের খেকে একটু সাপোর্ট পেলে দলের জন্যই ভালো হতো। কিন্তুু গত ৩ বছরে এমন টা খুব কমই দেখা গোছে।

বাংলাদেশের টেস্ট যুগের শুরুর দিকে খালেট মাসুদ পাইলট মোঃ রফিক এনামুল হক মনি কে প্রায়ই দেখা যেতো নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কিভাবে লড়াই করেছেন।

তবে ইবাতের খেলা সেন্ট লুসিয়া টেস্টের ইনিংসটা কিছুটা আশার আলো দেখতে পারে বাংলাদেশ। এদিন বিপদের মুহূর্তে আরেক পেসার শরিফুল কে সাথে নিয়ে গড়েছেন ৩৬ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ৩৫ বল খেলে নিজেও করেছেন ২১ রান যার মধ্যে আছে ৩ টি ৪ এর মার। তার এই রানের উপর ভর করে দল পেয়েছে ২৩৪ রান। তিনি ব্যাট হাতে এভাবেই দলের প্রয়োজনে দাঁড়াবেন এই কামনা সবার

You May Also Like