
একটা দুটো নয়, ছয়-ছয়টি গোল দিয়ে মালয়েশিয়ার মেয়েদের বিধ্বস্ত করেছেন সাবিনারা। শক্তিশালী যে দলটির বিপক্ষে জয় পেলেই হতো বিশাল অর্জন, সেখানে জয়ের ব্যবধান ৬-০! রহস্য কী? ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ান কোচ জ্যাকব জোশেফ বললেন-তিনি ভাবেনইনি যে, এত গোল হবে। বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন কি ভেবেছিলেন?
দুই কোচের কাছে একইরকম প্রশ্ন। এত গোল হওয়ার রহস্যটা কী? শোনা যাক বাংলাদেশ কোচের কাছ থেকেই, ‘আমি সবসময় জোর দেই যে, মেয়েরা কঠোর অনুশীলনে আছে কিনা। দিন দিন তাদের উন্নতি হচ্ছে কিনা। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৬ গোলের জয়, পুরো কৃতিত্বই আমি মেয়েদের দেবো। তারা ৯০ মিনিটই একই পেসে খেলেছে। আমরা হাই লাইন প্রেসিং করেছি। যে কারণে বেশি গোলে জিততে পেরেছি।’
২০১৭ সালে আগেরবারের সাক্ষাতে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-১ গোলে। ৫ বছরে এমন কি পরিবর্তন হলে যে, সেই মালয়েশিয়া অর্ধডজন গোলে হারলো?
এর ব্যাখ্যা এভাবে দিয়েছেন ছোটন, ‘৫ বছর আগে কেবল সাবিনা ছাড়া বাকিরা ছিল অল্পবয়সী। যে কারণে আমাদের দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা কম ছিল। এখন তাদের বয়স বেড়েছে, পরিপক্কও হয়েছে।’
বাংলাদেশ তো এখন সাউথ এশিয়ার বাইরে গিয়েও ভালো ফুটবল খেলা আশা করতে পারে, তাই না? ছোটনের জবাব, ‘আমরা যদি বেশি শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলতে পারি, তাহলে আরও উন্নতি হবে। আমার সন্তুষ্টির জায়গাই হলো মেয়েরা দিন দিন উন্নতি করছে। দুই বছরে বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক ম্যাচ খেলেছে। তাতেই আমাদের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা বাড়ছে।’
এই ভেন্যুটা বাংলাদেশের জন্য লাকি কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘লাকি ভেন্যু কিনা, সেটা বলছি না। তবে এই মাঠে আমাদের মেয়েরা যত ম্যাচ খেলেছে, দর্শকরা পুরোপুরি আনন্দ পেয়েছে।’
ছেলেরা কয়েকদিন আগে মালয়েশিয়ার কাছে হেরেছে। মেয়েরা সেটার প্রতিশোধ নিলো কি? বাংলাদেশ কোচ এড়িয়ে গেলেন প্রতিশোধের বিষয়টা।
তার কথা, ‘বিষয়টা হলো ২০১৭ সালে আমরা যে ম্যাচ খেলেছিলাম তখন সাবিনা, গোলরক্ষক সাবিনা এবং মাইনু ছাড়া সবাই ছিল কমবয়সের। তখনই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলেছিলাম। যে কারণে আমাদের একটা আত্মবিশ্বাস ছিল, এখন আমরা ভালো ম্যাচ খেলতে পারবো।’