
১১৭ দিন পর আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষস্থান হারাল বাংলাদেশ। যে ইংল্যান্ডকে টপকে টাইগাররা প্রথমবারের মত সুপার লিগের শীর্ষে উঠেছিল, সেই ইংল্যান্ডই এবার টপকে গেছে বাংলাদেশকে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড দুই দলই সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলেছে।
তামিম ইকবালের দলের চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে আছে ইয়ন মরগানের নেতৃত্বাধীন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানকে হোম সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারিয়ে প্রথমবারের মত সুপার লিগের শীর্ষে উঠেছিল টাইগাররা। সেই সাথে প্রথম দল হিসেবে ১০০ পয়েন্ট অর্জন করে। সে সময় ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ছিল ৯৫। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ১২০।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত তিন ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড জিতেছে সবগুলো ম্যাচ। ফলে মরগানদের পয়েন্ট এখন ১২৫। এতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে এবং ১০০ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে।আমস্টালভিনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানে অলআউট হয় ডাচরা। স্বাগতিকদের পক্ষে স্কট এডওয়ার্ডস ৬৪, বাস ডি লিড ৫৬ ও ম্যাক্স ও’দোদ ৫০ রান করেন।
৩ উইকেটে ২০৩ রান থেকে শেষদিকের ব্যাটিং ব্যর্থতায় কাঙ্ক্ষিত পুঁজি পায়নি দলটি। ইংল্যান্ডের পক্ষে ডেভিড উইলি একাই শিকার করেন চারটি উইকেট। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৮৫ রানের দেখা পায় ইংলিশরা। ফিল সল্ট এদিনও শুরু করেছিলেন ঝড়ো গতিতে, যদিও মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতকের দেখা পাননি। ৩০ বলে ৪৯ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরলে ক্রিজে আসেন ডেভিড মালান, যিনি কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান।
এরপর জেসন রয়ের সাথে দলের হাল ধরেন জস বাটলার, যিনি নিয়মিত অধিনায়ক মরগানের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দলকে। ৮৫ রানে ২য় উইকেটের পতনের পর দলের আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি তিনি। রয় পূর্ণ করেন শতক। ৮৬ বলে ১৫টি চার হাঁকিয়ে ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। বাটলার ৬৪ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন, যে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৫টি ছক্কা। ইংল্যান্ড মাত্র ৩০.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায়, ৮ উইকেটের ব্যবধানে।
এই জয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানেই জিতল ইংল্যান্ড, অর্থাৎ হোয়াইটওয়াশ হয়েছে নেদারল্যান্ডস। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড ৪৯৮ রানের পাহাড়সম স্কোর দাঁড় করেছিল, যা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে কোনো দলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।