
উইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ঘরের মাঠে লঙ্কানদের পর আরেক একটি টেস্ট হারের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা।তবে হারের দ্বারপ্রান্তে থাকলেও অ্যান্টিগা টেস্টে অর্জনের পরিমাণ উপেক্ষা করার মতো নয়। বাংলাদেশ দল হারলেও অনেকটাই দুঃখ ঘুচাবে এই সব অর্জনগুলো। উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম অর্জন ছিল দ্বিতীয় টাইগার ব্যাটার হিসেবে তামিম ইকবালের টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ।
মুশফিকুর রহিমের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে অনন্য এই কীর্তি গড়েন তিনি।এর পরের সবগুলো রেকর্ডেই সাকিব আল হাসানের নাম।স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে অর্ধশতক।
দ্বিতীয় ইনিংসে দলের বিপর্যয়ে হাল ধরে তুলে নেন আরও একটি অর্ধশতক। আর টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম হাফ সেঞ্চুরি করে তৃতীয় বাংলাদেশী অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।পাশাপাশি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টানা তিন ইনিংসে অর্ধশতকের দেখা পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টেস্টের টানা তিন ইনিংসে ফিফটি পেলেন সাকিব।
এছাড়া দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টের দুই ইনিংসেই অর্ধশতকের দেখা পেলেন সাকিব। সেই সুবাদে জায়গা করে নিলেন অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যক টেস্টে দুই ইনিংসে ফিফটির দেখা পাওয়া হাবিবুল বাশারের পাশে।
এর আগে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ে ও ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের দুই ইনিংসেই ফিফটি হাঁকিয়ে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচের দুই ইনিংসে ফিফটির রেকর্ড নিজের করে রেখেছিলেন বাশার।২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দুই ইনিংসে ফিফটির দেখা পান সাকিব।
এক যুগ পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ফিফটি হাঁকিয়ে বাশারের পাশে নিজের নাম লেখালেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের করা অর্ধশতকটি ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ৮৮তম অর্ধশতক৷
বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের এটি চলতি বছরের চতুর্থ, অধিনায়ক হিসেবে অষ্টম, ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে নবম, সাত নম্বর ব্যাটিং পজিশনে নেমে করা পঞ্চম অর্ধশতক৷এছাড়াও উইন্ডিজের বিপক্ষে এটি সাকিবের দশম অর্ধশতক। ক্যারিবীয়ানদের মাটিতে চতুর্থ, দেশের বাইরে দশম ফিফটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে সাকিব খেলেন ৫১ ও ৬৩ রানের ইনিংস। সেই সুবাদে উইন্ডিজের বিপক্ষে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।সেই সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দশম অধিনায়ক হিসেবে বাঁহাতি এই ক্রিকেটার স্পর্শ করেন ১ হাজার রান ও ৫০ উইকেটের মাইলফলক।
এখানেই শেষ নয়। সাকিব নাম লেখান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩ হাজার রান ও ১৫০ উইকেট শিকার করা চতুর্থ অধিনায়ক হিসেবে। সাকিবের আগে এই রেকর্ড গড় বাকি তিন ক্রিকেটার হলেন, ইমরান খান, ড্যানিয়েল ভেটরি ও জেসন হোল্ডার।
এ ছাড়াও অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ১০০০ ও ৫০ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন টাইগার ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়। টেস্ট ক্রিকেটের দেড় শ বছরের ইতিহাসে ১০ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে এমন কীর্তিময় তালিকায় জায়গা করে নিলেন সাকিব।