
অ্যান্টিগায় ধ্বংস্তূপে দাঁড়িয়েও স্বপ্নে মতো একটি সেশন পার করল বাংলাদেশ দল। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে সাকিব আল হাসান আর নুরুল হাসান সোহানের প্রতিরোধী ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট হারায়নি টাইগাররা। এই সেশনে ২৭ ওভার ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ৯৫ রান তুলেছে সফরকারী শিবির।
উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা সোহান অর্ধশতকের অপেক্ষায় থেকে চা বিরতিতে গেছেন। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে সাকুল্য ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২১০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭ রানের লিড পেয়েছে দল।
সপ্তম উইকেটে সাকিব-সোহানে অবিচ্ছেদ্য জুটি থেকে এসেছে ১০১ রান। চা বিরতি থেকে ফিরে সাকিব ৮৮ বলে ৫৩ ও সোহান ১০৭ বলে ৪৯ রানে দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনের খেলা শুরু করবেন।
এদিন দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকে সোহানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক সাকিব। প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ঠেলে দিতে আগের ইনিংসের মতো এবারো আগ্রাসী ভূমিকায় এই বাঁহাতি। পেয়ে যান অর্ধশতকের দেখা। ইনিংসের ৭৩তম ওভারে রেমন রেইফারের একটি বল কাভার অঞ্চলে খেলে দৌড়ে ১ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম অর্ধশতকের দেখা পান সাকিব। ৮২ বলে ৪টি চারে এই ফাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
সাকিবের ফিফটির পরেই বাংলাদেশ দলীয় স্কোর ২০০ পূর্ণ হয়। সাকিবের মতো অর্ধশতকের দিকে ছুটতে থাকেন সোহান। তবে নির্ধারিত সময়ে চা বিরতির কারণে ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে ড্রেসিংরুমে যেতে হয় তাকে। অ্যান্টিগা টেস্টে এখন পর্যন্ত ৮ সেশন খেলা হয়েছে। এর মধ্যে এটাই একমাত্র সেশন, যেখানে কোনো উইকেট পড়েনি।
সপ্তম উইকেটে জমে যাওয়া এই পার্টনারশিপ ভাঙতে মরিয়া স্বাগতিক শিবির। নিজেদের কোটার তিনটি রিভিয়ের যে দুটি বাকি ছিল, সেগুলো এই সেশনেই নষ্ট করে ফেলেছে তারা। সাকিব-সোহান যেভাবে ব্যাট করছেন, তাতে বড় লিডের স্বপ্ন বুনছে সফরকারীরা।