
২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ হচ্ছে এক দেশে। কাতারে অনুষ্ঠিতব্য এই বিশ্বকাপে অংশ নেবে ৩২ দল। এই বিশ্বকাপ নিয়ে যখন ফুটবল প্রেমীরা উত্তেজনার আগুনে পুড়ছেন ঠিক তখনই ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে দিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ হবে উত্তর আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার ১৬টি ভিন্ন ভেন্যুতে। এই আসরে অংশ নেবে ৪৮ দেশ। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোরে ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ভেন্যুর নাম প্রকাশ করে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ ভেন্যুতে আয়োজিত হবে ৬০ ম্যাচ, মেক্সিকো আর কানাডার ভেন্যুগুলো আয়োজন করবে ১০টি করে ম্যাচ। আগামী নভেম্বরের শেষভাগ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। আর কয়েক মাসের অপেক্ষা মাত্র। ফুটবলপ্রেমীরা এখনই দিন গুনছেন ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় উপলক্ষটির অপেক্ষায়।
মার্কিন মুলুকের ১১টি শহরে আয়োজিত হবে বিশ্বকাপ। মেক্সিকোর তিন ও কানাডার দুই শহরে বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। শহরগুলোর নাম এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক—
যুক্তরাষ্ট্র
আটলান্টা (মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়াম)
বোস্টন (জিলেট স্টেডিয়াম)
ডালাস (এটি অ্যান্ড টি স্টেডিয়াম)
হিউস্টন (এনআরজি স্টেডিয়াম)
কানসাস সিটি (অ্যারোহেড স্টেডিয়াম)
লস অ্যাঞ্জেলস (সোফি স্টেডিয়াম)
নিউইয়র্ক/ নিউজার্সি (মেটলাইফ স্টেডিয়াম)
মায়ামি (হার্ড রক স্টেডিয়াম)
ফিলাডেলফিয়া (লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল স্টেডিয়াম)
সান ফ্রান্সিসকো বে (লিভাইস স্টেডিয়াম)
সিয়াটল (লুমেন ফিল্ড স্টেডিয়াম)
মেক্সিকো
গুয়াদালাহারা (এস্তাদিও আকরোন)
মেক্সিকো সিটি (এস্তাদিও আজতেকা)
মন্তেরেই (এস্তাদিও বিবিভিএ বানকোমার)
কানাডা
টরন্টো (বিএমও ফিল্ড)
ভ্যাঙ্কুভার (বিসি প্লেস)
মজার ব্যাপার হলো, ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল যে স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল, লস অ্যাঞ্জেলসের সেই রোজ বোল স্টেডিয়ামকে নির্বাচন করা হয়নি। তার জায়গায় শহরের আরেক মাঠ সোফি স্টেডিয়াম নির্বাচিত হয়েছে। রোজ বোলের মতো আবেদন করার পরও ওয়াশিংটন বাল্টিমোরের এম অ্যান্ড টি ব্যাংক স্টেডিয়াম, অরলান্ডো ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়াম, সিনসিন্যাটি ওহাইওর পল ব্রাউন স্টেডিয়াম, ন্যাশভিল টেনেসির নিসান স্টেডিয়াম, ডেনভারের এমপাওয়ার ফিল্ড অ্যান্ড মাইল হাই, এডমন্টনের কমনওয়েলথ স্টেডিয়ামও সুযোগ পাচ্ছে না বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করার।