
বিশ্বখ্যাত ফুটবলার লিওনেল মেসির বাড়ি এখন জামালপুরে। কথাটি শুনতে বিস্ময়কর মনে হলেও সেই বাড়ি দেখতে এখন ভিড় করছেন অনেকেই।
তবে সেই বাড়িতে মেসি না থাকলেও থাকেন তার এক ভক্ত। যার নাম শামীম হাসান। ফুটবলপ্রেমী শামীম হাসান ইসলমাপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের চর দাতনা পূর্ব পাড়া গ্রামের বাদশা আলমের ছেলে।
পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। তিনি ইসলামপুর কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি একটি দোকান পরিচালনা করেন। সেই দোকানের জমানো টাকা থেকেই তার টিনের বাড়িকে রাঙিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে।
যার মাঝখানে রয়েছে মেসির ছবি।শামীম হাসান জানান, ছোটকাল থেকেই তিনি আর্জেন্টিনা ও মেসির ভক্ত। তাই তিনি ভালোবেসে তার ঘরকে রাঙিয়েছেন। সামনে কাতার বিশ্বকাপ। মূলত এ বিশ্বকাপকে ঘিরে তার মূল পরিকল্পনা।
তাই বন্ধুদের নিয়ে নিজ হাতে এঁকেছেন মেসির ছবি এবং পতাকা। ভবিষ্যতে টিনের চালেও আঁকতে চান মেসির ছবি এবং আর্জেন্টিনার পতাকা। যেখানে একপাশে বাংলাদেশের পতাকাও থাকবে। শামীমের চাচাতো ভাই সুমন মিয়া বলেন,
‘ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি শামীম মেসির অন্ধ ভক্ত। আর্জেন্টিনার হারকে সে কখনো মেনে নিতে পারে না। এমনও দেখেছি আর্জেন্টিনা হেরে গেলে সে কান্নাকাটি করেছে এবং নাওয়া খাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।’
সুজাত আলী, আইয়ুব খান, স্বপনসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের প্রতি মানুষের এমন ভালোবাসা সত্যিই বিরল। এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখেননি তারা।
তাদের চাওয়া আগামী কাতার বিশ্বকাপে যেন শামীমের দল আর্জেন্টিনা জয়লাভ করে।’ উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান আনসারী জাগো নিউজকে বলেন, ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে দেশের যুব সমাজের মধ্যে সবসময়ই উন্মাদনা বিরাজ করে।
যা এখনো বিদ্যমান। শামীম হাসানের এমন কাজ আমার এলাকায় বিরল। আমি এখনো তার বাড়িতে যাইনি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক ও বর্তমান জেলা অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের প্রশিক্ষক সুমন আলী জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে আমি বিষয়টি শুনেছি।
সত্যি কথা বলতে এ দেশে যুবসমাজ ফুটবল মানেই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকেই বুঝে থাকে। শামীমের সঙ্গে আমার সরাসরি দেখা না হলেও ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসাকে আমি সাধুবাদ জানাই।