
মুমিনুল হকের পর বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হওয়া নিয়ে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা ছিল। সাকিব আল হাসান তো টেস্ট অধিনায়ক হয়েছেনই। সহ-অধিনায়ক হয়েছেন লিটন দাস। কিন্তু বিসিবির পছন্দের তালিকায় আরও একজনও ছিলেন। তিনি মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত তার অধিনায়কত্ব পাওয়া হয়নি। কিন্তু জাতীয় দলের অফস্পিনার এমন কথা শুনতেই বলেছেন, ‘ভাই, হয়নি বলতে কী? সাকিব ভাই যেখানে আছে, সেখানে কীভাবে কী?’
অর্থাৎ মিরাজের দৃষ্টিতে এক্ষেত্রে সাকিব আল হাসানই সেরা বাছাই। তবে নিজের অধিনায়কত্বের প্রশ্নে তার অবস্থান খুব পরিষ্কার। একসময় অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এই ক্রিকেটার মনে করেন, ‘সাকিব ভাই তো বাংলাদেশকে অনেক দিন লিড করছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বর্তমানে আমাদের দলের অবস্থা অনুযায়ী আমি মনে করি সাকিব ভাই বেস্ট। আরও যে সিনিয়র আছে, দায়িত্ব নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন আস্তে আস্তে খেলছি, তাদের দেখে শিখছি। আমাদের অভিজ্ঞতা আরও ভালো হবে। অনেক সময় আছে। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত না।’
শুক্রবার দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির (বিএসপিএ) পুরস্কার। তাতে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন মিরাজ। সেখানে বলেছেন নেতৃত্বের চেয়ে তার মূল লক্ষ্য হলো পারফরম্যান্সের দিকে, ‘আপনি বললেন, নাম আছে। এটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা হলো কীভাবে পারফর্ম করতে হবে, দেশকে কীভাবে ভালো খেলে এগিয়ে নিতে হবে।’
এ সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়েও কথা বলেছেন স্পিনিং অলরাউন্ডার। যার চোটের কারণে শ্রীলঙ্কা সিরিজ খেলা হয়নি। আসন্ন সফরটাকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখেন তিনি, ‘প্রত্যেকটা সিরিজ কিন্তু চ্যালেঞ্জের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আপনি দেশে খেলেন বা বাইরে, প্রতিটা ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। দেশে খেললেই যে আমরা জিতে যাবো, এরকম না। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, ভালো খেলেই আমাদের জিততে হবে। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজে এর আগেও খেলেছি, অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষায় আছে।’
বিএসপিএ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় মিরাজ বলেছেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা যে প্রতি বছর খেলোয়াড়দের অ্যাওয়ার্ডটা দিয়ে থাকে সেজন্য। যেহেতু এই বছর আমি পাচ্ছি, অবশ্যই আমার অনেক ভালো লাগার বিষয় কাজ করছে। এর আগে আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা পেয়েছে, এবার আমি পাচ্ছি। আশা করি আয়োজকরা ভবিষ্যতে আরও আয়োজন করবে। তাতে ক্রিকেটার বা অন্য খেলোয়াড়রা উৎসাহিত হবে এই আওয়ার্ড পেতে।’