
২০১৭ সালের মার্চে সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর সর্বশেষ চার বছরে ১১ ইনিংসে প্রায় ৬০০ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এই সময়ের মাঝে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরির পেলেও সাকিবের নেই কোনো টেস্ট সেঞ্চুরি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। তবে বাংলাদেশকে সিরিজ হারের মুখ থেকে বাঁচাতে পঞ্চম দিন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং করার বিকল্প নেই সাকিবের। এমন পরিস্থিতিতে দলকে বাঁচানোর সঙ্গে নিজের সেঞ্চুরির আক্ষেপটা ঘুচাবেন কিনা এমন প্রশ্নের সাকিব জানিয়েছেন, সেঞ্চুরির চেয়ে তার কাছে তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করা গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আসলে এখন দলের যে পরিস্থিতি সেঞ্চুরির থেকে দলের জন্য যদি তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারি। আশা করি যে দুজন আছে তিারা যদি লাঞ্চ পর্যন্ত খেলতে পারে এরপর অন্তত আমি যদি তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারি ঐ টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। প্রথম ইনিংসের ১০ উইকেটের ৯টিই নিয়েছিলেন লঙ্কান দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো। দ্বিতীয় ইনিংসেও চার উইকেটের তিনটি নিয়েছেন তাদের পেসাররা। ম্যাচ বাঁচাতে পঞ্চম দিন সকালে রাজিথা ও আসিথাকে সামলানোর বিকল্প দেখছেন না সাকিব। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারালে ম্যাচ বাঁচানো বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘লাঞ্চের আগে একটির বেশি উইকেট পড়লে আমরা বাজে অবস্থায় থাকবো। সুতরাং লাঞ্চের সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন দুইটা ব্যাটার এই উইকেটে সেট হয়ে যাবে তখন কিন্তু তাদের আউট করা কঠিন। ওদের আসল হুমকিটা হচ্ছে পেস বোলার।’
‘তাদের পেস বোলাররা ৫-৬ ওভারের স্পেল করতে পারে। এই গরমে কতক্ষণ ওরা বোলিং করতে পারবে। লাঞ্চের ভেতরে দুজন হয়তো সর্বোচ্চ ২০ ওভার বোলিং করতে পারবে। ওই হুমকিটা যদি আমরা সামাল দিতে পারি তাহলে অনেক সহজ হয়ে যাবে। বল পুরাতন হয়ে যাবে, বোলাররা ক্লান্ত থাকবে, ব্যাটাররা সেট।’