তামিম-মুশফিকদের কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে তাদের চলার পথ সহজ করতে চান সিডন্স

InCollage 20220525 145020337

ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় রয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের তিন ব্যাটিং স্তম্ভ তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান। লম্বা সময় দেশকে সার্ভিস দেয়ার পর বেশিরভাগ ক্রিকেটারই নিজের শেষ সময়টাতে ফর্মহীনতায় ভুগেন। বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটাররা শেষ বেলায় যেন ব্যাট হাতে উজ্জ্বল থাকেন সেজন্য নিয়মিত কাজ করছেন জেমি সিডন্স। সাকিব, তামিম এবং মুশফিকদের ফর্মে রাখতে বেশ কিছু জিনিস সংযোজনের সঙ্গে বিয়োজনও করছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ।

সম্প্রতি অফ ফর্ম নিয়ে বেশ ভুগেছেন মুশফিক। ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফর্মে ফেরাতে ছোটখাটো কিছু সংযোজন-বিয়োজন করার সঙ্গে তার পায়ের পজিশন নিয়ে কাজ করেছেন সিডন্স। তাতে সাফল্যও পেয়েছেন মুশফিক। চট্টগ্রামের পর ঢাকা টেস্টেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিকের প্রশংসা করার সঙ্গে সিডন্স জানিয়েছেন, তার মতো ক্রিকেটারের ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না।

তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলার সময় সিডন্স বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে চট্টগ্রামে বেশ ভালো ব্যাটিং উইকেট পেয়েছিলাম। মুশফিক ফ্যান্টাস্টিক প্লেয়ার। তার ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি কিছু দরকার পড়ে না। আমরা তার প্রস্তুতিতে ছোটখাটো কিছু সংযোজন-বিয়োজন করেছি, তার পা নিয়ে কিছু কাজ করেছি। যা যথেষ্ট মনে হয়েছে। চট্টগ্রামে সে নিজেই পথ খুঁজে নিয়েছে, দারুণ ব্যাটিং করেছে।’

‘আমি মনে করি, এই ম্যাচের সেঞ্চুরিটি তার অন্যতম সেরা ইনিংস। সে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে। সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য আমার কাজটা হলো তাদের পথ সহজ করা। তাদের ক্যারিয়ারের শেষ ৩-৪ বছর অবশ্যই সেরা ফর্মে কাটানো উচিত। গ্রাফটা নিম্নমুখী হলে চলবে না। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তাদের ছোটখাটো কিছু সংযোজন-বিয়োজন প্রয়োজন। আমরা সেগুলো নিয়েই কাজ করছি।’

ওয়ানডে ক্রিকেটে আধিপত্য থাকলেও টেস্টে এখনও নিজেদের সেভাবে বড় দলে পরিণত করতে পারেনি বাংলাদেশ। মুমিনুলের হকের দলের সবচেয়ে বড় সমস্যার একটি দ্রুত উইকেট হারানো। বিশেষ করে একসঙ্গে বেশকটি উইকেট হারানোর প্রবণতা ভোগাচ্ছে টাইগারদের।

সর্বশেষ সাউথ আফ্রিকা সফরে ৮০ ও ৫৩ রানে অল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছিল টাইগাররা। এদিকে চলমান ঢাকা টেস্টেও দেখা গেছে একই চিত্র। দুই লঙ্কান পেসারের দারুণ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটারর। তাতে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এমন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মানসিক এবং টেকনিক্যাল পরিবর্তনে মনোযোগ সিডন্সের।

বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের এখনও একসঙ্গে উইকেট হারানোর প্রবণতা রয়ে গেছে। এই দিকটাতে কোনো বদল আসেনি। আমাদের এটা দ্রুত বদলাতে হবে। এটা অগ্রহণযোগ্য। এই ম্যাচেই যেমন অল্প রানে পাঁচ উইকেট গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এমন হয়েছে। আমাদের এটা দ্রুত বদলাতে হবে।’

‘আমার মনে হয় না এটা থেকে বেশি দূরে আছি। কিছু টেকনিক্যাল ও মেন্টাল পরিবর্তন আনলেই আমরা দ্রুত পরিবর্তন দেখতে পাবো। তবে এখন লম্বা সময় ব্যাট করার সামর্থ্যটা দুর্দান্ত। মুশফিক, লিটন, প্রথম টেস্টে তামিম… এ জিনিসগুলো তখন (২০১১ সালে) খুব একটা দেখা যেতো না। তো এই পরিবর্তনটা এসেছে।’

You May Also Like