
‘কে বলে সফলতা ভাগ্য নির্ধারণ করে, যদি আপনার ইচ্ছা মজবুত হয়, তবে সেই পথও মাথা নত করে।’ এটি শুধু একটি প্রবাদ নয়। প্রতিবছর আইপিএলে অনেক খেলোয়াড় তাদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পান। এই প্লাটফর্মে দেশের প্রতিটি তরুণ খেলোয়াড় তাদের প্রতিভা দেখানোর জন্য অপেক্ষায় থাকে।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ সুযোগ পায় আবার কিছু খেলোয়াড় হতাশ হন। আইপিএল খেলার স্বপ্ন থাকে প্রতিটি খেলোয়াড়ের মনে। তেমনি একজন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের খেলোয়াড় আইপিএল ২০২২-এ নিজের যোগ্যতা দেখিয়ে কোটি কোটি অনুরাগীর মন জয় করেছেন। এই খেলোয়াড় আর কেউ নন আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিং। হত দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া রিঙ্কু সিং ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট পছন্দ করতেন।
কিন্তু বাড়ীর বেহাল দশার কারণে তার বাবা চাননি এসবের জন্য সে তার সময় নষ্ট করুক। তার বাবা একজন গ্যাস বিক্রেতা ছিলেন। ক্রিকেট খেলার কারণে তার বাবা রিঙ্কুকে মারধোর পর্যন্ত করতো। যাইহোক, তা সত্ত্বেও রিঙ্কু তার উদ্দেশ্যে অটল ছিলেন। পরিবারের বেহাল দশার কারণে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। কিছুদিন পর তিনি ঝাড়ুদারের কাজ পান। রিঙ্কু সিং বলেছেন, “আমি ঝাড়ুদারের কাজ পেয়েছিলাম।
আমাকে একটি কোচিং সেন্টারে ঝাড়ু দিতে হতো। আমাকে বলা হয়েছিল সেখানে ভোরবেলায় গিয়ে কাজ করতে। কিন্তু আমি বেশিদিন পারিনি, কাজটি ছেড়ে দিই। কোনও কিছুই ভালো লাগছিলো না। এদিকে লেখাপড়াও বন্ধ হয়। তখনই আমার মনে হয়েছিল ক্রিকেটেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমি অনুভব করেছি যে শুধুমাত্র ক্রিকেটই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আমার কাছে অন্য কোনো বিকল্প ছিল না।”
রিঙ্কু তার সমস্ত শক্তি ক্রিকেটে প্রয়োগ করেছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন যেখানে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ১৬টি হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ২৩০৭ রান করেন। রিঙ্কু বর্তমানে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলছেন। চলতি মরসুমে বেশ কয়েকটি ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন।
কেকেআরের শেষ ম্যাচে রিঙ্কু সিংয়ের ১৫ বলে ৪০ রানের লড়াকু ইনিংসটি সকলের মন জয় করে নিয়েছে।