ফুটবল বিশ্বে একটা আলোচনা কয়েক দিন ধরে চলছে—বার্সেলোনার সাবেক সতীর্থ দানি আলভেজকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন কি না লিওনেল মেসি? পেশাদার ফুটবলে ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে মেসি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন সাতবার। বলতে গেলে ফুটবলের সব রেকর্ডই মেসির পায়ে লুটিয়েছে। কিন্তু ক্যারিয়ারে বেশি শিরোপা জয়ের রেকর্ডটা এখনো নিজের করে নিতে পারেননি মেসি।
ফুটবলবিষয়ক পরিসংখ্যানের খোঁজখবর রাখা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও প্রতিষ্ঠানের হিসাব অনুযায়ী ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার আলভেজ ৪৩টি শিরোপা জিতেছেন। গতি শনিবার নিজেদের মাঠে লাঁসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে পিএসজি যে লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে, সেটি মেসির ক্যারিয়ারে ৩৮তম। সব ধরনের শিরোপা জয়ে যেমন মেসি পিছিয়ে আছেন, পিছিয়ে আছেন লিগ শিরোপা জয়ের লড়াইয়েও। এই হিসাবে তো তিনি ২৭ জনের পেছনে।
লিগে ১৩টি করে শিরোপা জেতা খেলোয়াড় আছে ১১ জন। আর ১২টি করে শিরোপা জিতেছেন ১৩ ফুটবলার। তবে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে শিরোপা জয়ের হিসাবে মেসির চেয়ে ওপরে আছেন মাত্র তিনজন—রায়ান গিগস, গ্যারি নেভিল ও পাকো হেন্তো।
পিএসজির হয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’তে এবারেরটিসহ লিগে মেসির শিরোপা জিতেছেন ১১ বার। ঘরোয়া লিগে সবচেয়ে বেশি ১৬টি শিরোপা জিতেছেন নরওয়ের সাবেক ফুটবলার রোর স্ত্রান্দ। সব কটি শিরোপাই তিনি জিতেছেন নরওয়ের শীর্ষ লিগের দল রোজেনবর্গের হয়ে। ১৪টি করে শিরোপা আছে দুজনের—ওলেক্সান্দর শোভোকোভস্কি ও হোসাম হাসান। শোভোকভস্কি সব কটি শিরোপাই জিতেছেন ইউক্রেনিয়ান ক্লাব দিনামো কিয়েভের হয়ে। আর মিসরীয় হোসাম হাসানের শিরোপাগুলো এসেছে আল আহলি, আল আইন ও জামালেকের জার্সিতে।
লিগে ১৩টি করে শিরোপা জেতা খেলোয়াড় আছে ১১ জন। আর ১২টি করে শিরোপা জিতেছেন ১৩ ফুটবলার। তবে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে শিরোপা জয়ের হিসাবে মেসির চেয়ে ওপরে আছেন মাত্র তিনজন—রায়ান গিগস, গ্যারি নেভিল ও পাকো হেন্তো। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে আলভেজের শিরোপা ৯টি। এই শিরোপাগুলো তিনি জিতেছেন বার্সেলোনা (৬টি), জুভেন্টাস (১টি) ও পিএসজির (২টি) হয়ে।
লিগ শিরোপা জয়ে স্ত্রান্দকে স্পর্শ করতে আরও ৫টি শিরোপা জিততে হবে মেসিকে। আর্জেন্টাইন তারকার বয়স এখন ৩৪ বছর। সেই হিসাবে এখন থেকে প্রতি মৌসুমে লিগ শিরোপা জিতলেও স্ত্রান্দকে ধরতে আরও ৫ বছর খেলতে হবে তাঁকে। তার মানে, তাঁকে খেলতে হবে ৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত। বাস্তবতা মানলে এ রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়া আর্জেন্টাইন জাদুকরের জন্য অসম্ভবই বলতে হবে!
১১
লিওনেল মেসির লিগ শিরোপা। এর ১০টি তিনি জিতেছেন বার্সেলোনার হয়ে, একটি পিএসজির জার্সিতে।
৩
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে মেসির চেয়ে বেশি লিগ শিরোপা জেতা খেলোয়াড় আছেন তিনজন। রায়ান গিগস ১৩টি শিরোপা জিতেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। একই ক্লাবের হয়ে ১২টি শিরোপা জিতেছেন গ্যারি নেভিল। আর পাকো হেন্তো ১২টি শিরোপা জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে।
১৬
রোর স্ত্রান্দ (রোজেনবর্গ)
১৪
ওলেক্সান্দর শোভোকোভস্কি (দিনামো কিয়েভ)
হোসাম হাসান (আল আহলি, আল আইন ও জামালেক)
১৩
স্যান্ডি আর্চিবল্ড (রেঞ্জার্স)
হোসাম আশুর (আল আহলি)
জোনাথন জৌবার্ট (গ্রেভেনমাচের ও দুদেলাঞ্জ)
রায়ান গিগস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
ওলেগ ব্লাগোনাদেজদিনস (স্কন্তো রিগা)
ইগনাতিয়াস নেস্তেরভ (পাখতাকর তাসকেন্ত, বুনিওদকর তাসকেন্ত ও লোকোমোতিভ তাসকেন্ত)
ইমরে শ্লোসার (ফেরেনকাভারোসি ও হাঙ্গারিয়া এফসি)
মিহাইলস জেমলিনস্কিস (স্কন্তো রিগা)
ভালেন্তিন বেলকেভিচ (দিনামো মিনস্ক ও দিনামো কিয়েভ)
তিমুর কাপাৎসে (পাখতাকর তাসকেন্ত, বুনিয়দকর তাসকেন্ত, লোকোমতিভ তাসকেন্ত, নেফৎচি ও আকতোভে)
আলফ্রেদো দি স্তেফানো (রিয়াল মাদ্রিদ, রিভার প্লেট ও মিলোনারিওস)
১২
ভিতালি রদিওনভ (বাতে বরিসভ)
প্রেদরাগ জর্জেভিচ (অলিম্পিয়াকোস)
উইলফ্রায়েড বালিমা (শেরিফ ত্রাসপোল)
পাকো হেন্তো (রিয়াল মাদ্রিদ)
দিমিত্রি লিখতারোভিচ (ত্রানসমাস মগিলেভ ও বাতে বরিসভ)
আন্দ্রেয়াস উলমার (অস্ট্রিয়া ভিয়েনা ও রেড বুল সালজবুর্গ)
ববি লেনক্স (সেল্টিক)
স্তেল স্টেতসাস (রোজেনবর্গ)
গ্যারি নেভিল (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
মানোল মানোলভ (সিএসকেএ সোফিয়া)
কেনি ডালগ্লিস (লিভারপুল ও সেল্টিক)
সের্গেই রেবরভ (রুবিন কাজান, দিনামো কিয়েভ ও ফেনেরবাচে)
আরিয়েন রোবেন (বায়ার্ন মিউনিখ, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি ও পিএসভি)