
ভারতীয় ক্রিকেট দল যখন ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত সেই সময় সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে একটা ভাঙাচোরা দল ধীরে ধীরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং তরুণতুর্কিদের মনে তিনি এতটাই সহজ জুগিয়েছিলেন যে বিদেশের মাটিতেও চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে শিখেছিল ‘নতুন ভারতীয়’ দল।
বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীকে ভারতীয় ক্রিকেটারের ‘রূপকার’ বলা। দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি আইসিসির কোন ট্রফি জিততে না পারলেও পরবর্তী সময়ে ভারতীয় দল যে কয়েকটি আইসিসি ট্রফি জিতেছিল তাতে বেশিভাগই তার নেতৃত্বে তৈরি হওয়া খেলোয়াড়দের বিশেষ অবদান ছিল।





১) মহেন্দ্র সিং ধোনি:
ধোনির কেরিয়ার গড়তে দাদার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে একথা কারোরই অজানা নয়। ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধোনির অভিষেক ঘটে। প্রথম কয়েকটি ম্যাচে ব্যর্থতার পর তাকে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠিয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন। এরপর আর কখনোই তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। নেতৃত্ব হাতে পেয়ে ভারতীয় দলকে তিনটি আইসিসি ট্রফি উপহার দেন।
২) বীরেন্দ্র শেহবাগ:
অজয় জাদেজার নেতৃত্বে শেহবাগের ওডিআইতে অভিষেক হয়েছিল এবং ৬ নম্বরে ব্যাটিং করতেন। এরপর তার সুপ্ত প্রতিভার কথা জানতে পেরে সৌরভ তাকে ২০০২ সালে ওপেন করতে পাঠান। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এবং তিনি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওপেনার হয়ে ওঠেন।





৩) হরভজন সিং:
টেস্টে ৪০০-র বেশি উইকেট নিয়ে অন্যতম সফল ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং। তার কেরিয়ার গড়ার পিছনে অবশ্য সৌরভ গাঙ্গুলী রয়েছেন। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজে তাকে নির্বাচকদের কাছে বাছাইয়ের জন্য রাজি করিয়েছিলেন। এরপর ওই সিরিজে হ্যাটট্রিক নিয়ে প্রথম টেস্ট ভারতীয় বোলার হন।
৪) যুবরাজ সিং:
২০০০ সালে ১৮ বছর বয়সে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে অভিষেক করেছিলেন যুবরাজ সিং। নিজের কেরিয়ার গড়তে সৌরভের সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অনেক স্মরণীয় পারফরম্যান্স করেন। ভারতের এই সেরা অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন।





৫) জাহির খান:
২০০০ সালে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে অভিষেক হয়েছিল আর এক ভারতীয় কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার জাহির খানের। ম্যাচের প্রথম ওভারেই তার হাতে বারবার বল তুলে দিয়ে একজন দুর্দান্ত মানের বোলার তৈরি করেছিলেন। এর ফলস্বরূপ ২০১১ বিশ্বকাপে টের পেয়েছিল গোটা ভারতীয় দল এবং ওই টুর্নামেন্টে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হয়েছিলেন