
ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের দেওয়া ফুটবলের ব্যাক্তিগত সবচেয়ে বড় পুরষ্কার ব্যালন ডি অরের ভোটিং সিস্টেম নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল গত মৌসুমে। এই আসরে ব্যালন ডি অর জিতেছিলেন লিওনেল মেসি যা কোন ভাবেই যোগ্য লোকের হাতে উঠেনি বলেই সমালোচনা হয়েছিল।





১৯৫৬ সালে শুরু হওয়ার পর টানা ৫৪ বছর ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটি ছিল ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর একক সম্পত্তি। সাংবাদিকদের ভোটে দেওয়া হতো ইউরোপের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের এই পুরস্কার। ওদিকে ১৯৯১ থেকে ফিফার সব সদস্য দেশের কোচ ও অধিনায়কদের ভোটে ফিফা আলাদাভাবে দিয়ে আসছিল ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার। কিন্তু ২০১০ সালে ফিফার সঙ্গে ফ্রান্স ফুটবল–এর চুক্তির পর দুটি পুরস্কার এক হয়ে যায়।





এই সমালোচনার পর অবশেষে নিজেদের ভোটিং সিস্টেম এবং আরও কিছু নিয়ম পাল্টাতে যাচ্ছে ব্যালন ডি অর কর্তৃপক্ষ। কি সেই নিয়মগুলো চলুন জানা যাক:-
১. এতদিন ব্যালন ডি অর নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয় ছিল পুরো ক্যালেন্ডার ইয়ার। অর্থাৎ জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিবেচনা করা হত। কিন্তু এখন আর সেসব থাকছে না। এখন ব্যালন ডি অরের বিবেচনায় থাকবে একটি মৌসুম অর্থাৎ আগষ্ট থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত।
এর অর্থ দাড়াচ্ছে ২০২২ বিশ্বকাপ ২০২২ ব্যালন ডি অরের হিসেবে আসবে না। বিশ্বকাপ হিসেবে আসবে ২০২৩ সালে ব্যালন ডি অরে।
২. ব্যালন ডি অরের ৩০ সদস্যের যে তালিকা প্রকাশ করা হয় সেটা বাছাই করার জন্য কিছু নির্দিস্ট ব্যক্তি রয়েছে। আগামী মৌসুম থেকে এই তালিকা তৈরি করবে ব্যালন ডি অরের অ্যাম্বাসেডর দ্রগবা, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিকের তিনজন সাংবাদিক।





৩. ব্যালন ডি অরের জন্য এবার থেকে ফিফা র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০০ এর মধ্যে যারা আছে তারাই ভোট দিতে পারবে।
৪. ব্যালন ডি অর একটি ব্যক্তিগত শিরোপা। তাই এখন থেকে প্লেয়ারের ব্যাক্তিগত নৈপুন্যের দিকেই বেশি নজর দেয়া হবে। এরপর নজর দেওয়া হবে তার অর্জনের উপর। মৌসুমে তার দলীয় অর্জন এবং রেকর্ডের দিকে নজর দেওয়া হবে। তৃতীয়ত নজর দেওয়া হবে তার ফেয়ার প্লে এর উপর। সে অন্যদের কাছে কেমন উদাহরণ স্থাপন করে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হবে।