
জাতীয় দলে খেলা নিয়ে সাকিবের পরিকল্পনা জানবে বিসিবি। কোন সংস্করণ এবং কোন সিরিজগুলো খেলতে চান জানাবেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের যেমন পরিকল্পনা রয়েছে তেমনি তাকে ঘিরে বিসিবিরও পরিকল্পনা আছে।আগামী দুই বছর সাকিবকে তিন সংস্করণে চায় বিসিবি। বোর্ড চায় সাকিবের উপস্থিতিতে





এই সময়ের ভেতরে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি২০ দল গুছিয়ে নিতে। ২০২৩ সালের পর ফিট থাকলে সাদা বলের ক্রিকেট বেছে খেলার স্বাধীনতা পাবেন তিনি। তবে বোর্ডের চাওয়া মতো এ বছর কেন্দ্রীয় চুক্তির তিন সংস্করণেই থাকছেন সাকিব।২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ চলাকালে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন সাকিব।





তিনি বলেছিলেন, টেস্ট দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন করা হলে স্বাধীনভাবে খেলতে পারবেন। টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ারও ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন বিসিবি সভাপতির কাছেও। সে সময় বোর্ড রাজি হয়নি।যদিও জুয়াড়ির তথ্য গোপন করায় ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবরে সব ধরনের ক্রিকেটে দুই বছরে (এক বছর কার্যকর) জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। টেস্ট এবং টি২০ দলের নেতৃত্বেও পরিবর্তন করা





হয়। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে দলের একজন সাধারণ খেলোয়াড় সাকিব। চোট এবং ছুটি মিলিয়ে নিয়মিত খেলছেনও না।২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করলেও ঊরুর চোট নিয়ে ছিটকে যান দ্বিতীয় টেস্টে। পুনর্বাসনে থাকায় নিউজিল্যান্ড সফরেও যেতে পারেননি। শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ছুটি নিয়ে খেলেন আইপিএল। টি২০





বিশ্বকাপেও সব ম্যাচ খেলতে পারেননি। লোয়ার হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ায় শেষ দুই ম্যাচ খেলা হয়নি তার। মুমিনুল হকদের নিউজিল্যান্ড সফর থেকেছুটি নেন।২০২১-২২ সাল মিলে বাংলাদেশের খেলা ৯ টেস্টের তিনটিতে ছিলেন সাকিব। সেদিক থেকে দেখলে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত ছিলেন না তিনি। বিসিবি চায় সাকিব টেস্টেও নিয়মিত হন। বোর্ডের একজন প্রভাবশালী পরিচালক বলেন, ‘ওকে নিয়ে আমাদের দুই বছরের একটা পরিকল্পনা আছে। তিন ফরম্যাটেই ওর সার্ভিস চায় বোর্ড। বিষয়টি ওকে জানানো হবে। খেলা না খেলা তার সিদ্ধান্ত।’বিসিবি চাইলেও সাকিব হয়তো নিয়মিত খেলবেন না।





পরিবার ও ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে না খেলার শর্তে। এখন ছুটি পেলেও মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের মাটিতে টেস্ট খেলতে হবে তাকে।বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার ২০২২ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন বলে বুধবার জানান ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পাশাপাশি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে হতে পারে সাকিববে।





গুঞ্জন আছে, সাকিবের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে ২০২২ সালের টি২০ বিশ্বকাপ দল।২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ দলের নেতৃত্বেও সব্যসাচী এ ক্রিকেটারকে দেখতে চান ক্রিকেটের অনেকে। কিন্তু সাকিব নেতৃত্বে ফেরার ব্যাপারে আগ্রহী নন। কারণ বেছে
বেছে সিরিজ খেলার পরিকল্পনা তার। সে যাই হোক, বিসিবির পরিকল্পনায় মাত্র দুই বছর আছেন সাকিব।ততদিনে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের বয়স ৩৬ বছর পেরিয়ে যাবে। মাশরাফি বিন মুর্তজা,
মাহমুদউল্লাহর মতো তাকেও তখন নতুনদের জন্য পথ ছেড়ে দিতে হতে পারে।