
ব্রাজিলের তুলনায় ফুটবলে যোজন যোজন পিছিয়ে বাংলাদেশ। যার কারণে লাতিন আমেরিকার দেশটির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচও এদেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। তবে কেমন হবে, যদি স্বপ্নকে সত্যি করে নেইমারের দেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে দেখা যায় জামাল ভূঁইয়াদের! হ্যাঁ, এমনই প্রস্তাব ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত হোয়াও তাবাজারা ডি অলিভিয়েরাকে দিয়েছেন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.জাহিদ আহসান রাসেল।





তবে সেক্ষেত্রে ব্রাজিলের মূল দল নয়, একটি বয়সভিত্তিক ফুটবল দলকে প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। গত বুধবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত হোয়াও তাবাজারা ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানে জাহিদ আহসান রাসেল প্রস্তাব রাখেন,





ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য। এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এবিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্রাজিলের একটি বয়সভিত্তিক দলকে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাব। যার মাধ্যমে দু’দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’





বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত। তিনি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্রাজিল ফুটবলের বিপুল সংখ্যক সমর্থক রয়েছে। যা ব্রাজিলিয়ানদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। বাংলাদেশ অত্যন্ত চমৎকার একটি দেশ। বাংলাদেশের ফুটবলসহ সকল খেলার উন্নয়নে ব্রাজিল সরকার সার্বিক সহযোগিতা করবে।’ এসময় তিনি যোগ করেন, ‘আমরা বাংলাদেশের ফুটবলকে বিশ্ব ফুটবলে সম্মানজনক ও শক্তিশালী অবস্থানে দেখতে চাই।





যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে বাংলাদেশের সকল প্রস্তাবনাকেই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে ব্রাজিল সরকার। ব্রাজিল বাংলাদেশের সম্পর্ককে স্পোর্টস এর মাধ্যমে আমরা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।’ এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী ব্রাজিলের সঙ্গে ফুটবলের উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ‘ব্রাজিল বিশ্ব ফুটবলে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দেশ। আমরা দেশের ফুটবলের উন্নয়নে অল্প সময়ের মধ্যে ব্রাজিলের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করব।





যার মাধ্যমে আমাদের দেশের ফুটবলার ও স্থানীয় কোচরা উপকৃত হবে। খেলোয়াড় বিনিময় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। ব্রাজিল থেকে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কোচ নিয়ে এসে আমাদের স্থানীয় কোচ ও টেকনিক্যাল ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, ‘আমরা গতবছর অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলের চারজন তরুণ খেলোয়াড়কে ব্রাজিল থেকে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। এ বছর আমরা সেটিকে বাড়িয়ে ১১ জন বালক খেলোয়াড়ের একটি পূর্ণাঙ্গ দলকে ব্রাজিলে প্রেরণ করব। এছাড়া প্রথমবারের মতো স্পেনে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলের ১১ জন বালিকা খেলোয়াড় প্রেরণ করতে যাচ্ছি।’
এর আগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে ব্রাজিল এবং বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। আমরা এ বছর বন্ধু রাষ্ট্র ব্রাজিলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পার করছি।’