
এবারই প্রথম সফরের আগে ছুটি কিংবা বিশ্রাম নিয়ে ‘নাটক’ করেননি সাকিব। ২০১৭ সালে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগেও ছুটি নিয়েছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এরপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেললেও চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান। আইপিএলে খেলবেন বলে গত বছর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলতে যাননি।





এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেও পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়েছিলেন। আগের ছুটিগুলো অল্প কিছু দিনের হলেও এবারেরটা বেশ লম্বাই। যেহেতু ক্রিকেটের বাইরে থাকার সময়টা দীর্ঘ, ফলে বিশ্রামের আড়ালে শাস্তি দেওয়া হলো কিনা, দুয়ে দুয়ে চার মেলানোর চেষ্টা কিন্তু চলছে! প্রশ্নটা জালাল ইউনুসের সামনেও এসেছিল। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল, সাকিব কি কোড অব কন্ডাক্ট ভেঙেছেন, তিনি কি শাস্তি পাচ্ছেন? কোনও উত্তরই সরাসরি দেননি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান।





শুধু বলেছেন, ‘(সাকিবকে) আমি বলেছি মিডিয়ায় বলার আগে আমাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। সে বলেছে হিট অব দ্য মোমেন্টে… সেটা সে বলতে পারে। কিন্তু কী সিদ্ধান্ত বা কী হবে, সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। সে আসুক তারপর দেখা যাবে। সাকিব যা করেছে, এটা কখনোই ভালো উদাহরণ নয়। কারণ, আরও ১৪ জন ক্রিকেটার আছে। তারা তো সিনিয়রকেই ফলো করে।’ সাকিবের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বিসিবির বিশ্রামের সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জালাল ইউনুস,





“আমি নিজে ফোন করে তার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছি যে তোমার প্ল্যানটা বলো। সে বললো, ‘আমি এখনও মনে করি শারীরিক ও মানসিকভাবে আনফিট।’ সাকিবের নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা তাকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দিয়েছি।”
জালাল ইউনুসের শেষ কথা ইঙ্গিত দেয় সাকিব চাইলেও মোহামেডানের জার্সিতে ঢাকা লিগে খেলতে পারছেন না। তার বিশ্রামের মেয়াদ শেষ হতে হতে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা লিগ। সেটা আরেকটি বড় ধাক্কা হতে পারে সাকিবের জন্য। আইপিএলে দল না পেয়ে কমপক্ষে ২ কোটি রুপির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার। এখন যদি ঢাকা লিগ খেলতে না পারেন, সেখানেও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন।
জানা গেছে, প্রায় এক কোটি টাকায় মোহামেডানে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই অলরাউন্ডার। অবস্থা যা, তাতে মানসিক অবসাদে বিশ্রাম নেওয়ার ‘সিদ্ধান্ত’ সাকিবের ওপরই না বুমেরাং হয়!