
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ছুটি মঞ্জুর করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফলে তিনি বাংলাদেশ দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যাচ্ছেন না।
বুধবার (৯ মার্চ) বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।





গত কয়েকদিন ধরেই সাকিবের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে চলছে বিতর্ক। আইপিএল নিলামের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চাননি সাকিব। পরে দল না পেয়ে সেখানে যেতে রাজি হন এ অলরাউন্ডার। গত ৬ মার্চ বিমানবন্দরে সাকিব বলেন, এখন মানসিক ও শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছি, তাতে মনে হয় না আমি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ খেলার জন্য ফিট। এই মুহূর্তে আমি যদি একটা ব্রেক পাই তাহলে আমার জন্য খেলাটা অনেক সহজ হবে। আমার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যদি দক্ষিণ আফ্রিকা খেলতে যাই তাহলে দলের সাথে, দেশের সাথে প্রতারণা করার মতোই একটা বিষয় হবে, যেটা আমি অবশ্যই চাই না। আফগানিস্তান সিরিজে পার্সোনাল দিক দিয়ে বিবেচনা করলে অবশ্যই পারফরমেন্স হতাশাজনক ছিল। আমার নিজের যেমন প্রত্যাশা, মানুষ যেমন প্রত্যাশা করে, বিসিবি যেমন চাই সেরকম কিছুই করতে পারিনি।





এর পরের দিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আমরা মোটেও বিচলিত নই। ও হয়তো মানসিক বা শারীরিকভাবে ডিস্টার্বড। ওর যদি সমস্যা হয় আমাদের জানাতে পারে। বিমানবন্দরে বলে দেয়াটা কেমন দেখায়? ও তো দিনের বেলা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতো। কোচের সঙ্গে কথা বলতে পারতো। সুজনের (খালেদ মাহমুদ) সঙ্গে কথা বলতে পারতো। হঠাৎ করে এভাবে চমক দেয়া, কেনো করছে?





সাকিব আল হাসানের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে পাপন বলেন, উপভোগ না করলে খেলছে কেনো? সাকিব বলেছে আফগানিস্তান সিরিজ সে উপভোগ করেনি। আমরা যে জিতেছি, সে উপভোগই করেনি। কেনো? তার যদি অফফর্ম থাকতো, সে বলতো খেলব না। সমস্যাটা কোথায়? খেলার পর যদি বলে উপভোগ করেনি, আগ্রহ নাই, মোটিভেশন নাই, তাহলে আমাদের বলো। বলো, আগ্রহ নেই। তাহলে খেলো না।
সাকিবের এমন সিদ্ধান্তে চটেছিলেন জাতীয় দলের ডিরেক্টর ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনও। গতকাল জানিয়েছিলেন, সাকিব টেস্ট না খেললে না খেলুক, আই ডোন্ট কেয়ার। বিসিবি এত উদ্বিগ্ন না।
নোটঃ সকল ধরনের খেলার খবর ও চলাকালীন সকল খেলার স্কোর পেতে উপরে থেকে ফলো করে দিন। আমরা সবসময় আপনাদেরকে লিগাল তথ্য দিয়ে হেল্প করার চেষ্টা করে থাকি, তাই সবসময় আমাদের সাপোর্ট দিন♥