
বর্তমান ক্রীড়া বিশ্বে রাজার আসন দখল করে আছে বাইশ গজে ব্যাট-বলের লড়াইয়ের খেলা ক্রিকেট৷ ব্যতিক্রম নয় ভাটির দেশ বাংলাদেশেও ৷ গ্রাম বাংলার মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করে এখনও অনেকে ফুটবল খেলাকে পছন্দ করলেও জনপ্রিয়তায় ক্রিকেট ঢের এগিয়ে ৷





ক্রিকেট মাঠে সময়ে অসময়ে উত্থান-পতনের গল্প আকৃষ্ট করেছে আমজনতাকে ৷ তাইতো ক্রিকেটের প্রতি অধিকাংশের ভালোবাসা নিঃস্বার্থ নিরুপণ৷ অনেক আগে থেকেই ক্রিকেট মাঠে পাক-ভারত লড়াই সবার মনের অন্তরালে আলাদা ভাবে জায়গা করে নিয়েছে৷ ঠিক তেমনি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ বিশেষ করে কোয়াটার ফাইনালে নো বল ও ক্যাচ কান্ডের পর ভারতের বিপক্ষে টাইগার শিবিরের ম্যাচ মানে আলাদা ভালোবাসা, উচ্ছ্বাস, উৎকন্ঠা৷





প্রতিবেশি দেশের বিরুদ্ধে জয়ের আনন্দ যেন এভারেষ্ট বিজয়ের সমান ৷ চলতি বছরের নভেম্বরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাতে পা রাখবে রোহিত বাহিনী ৷ সাদা পোষাকে ২ ম্যাচের পাশাপাশি রঙ্গিন পোষাকের একদিনের ম্যাচও খেলতে পারে তিনটি ৷ তবে রঙ্গিন পোষাক এখনও নিশ্চিত নয় ৷ নিশ্চিত না হলেও দর্শকরা নিশ্চই প্রার্থনা করবে এই ভেবে যেন রঙ্গিন পোষাকের ম্যাচ থাকে এবারের সিরিজে ৷





আবারও ভারত বধের আনন্দ নিয়ে গ্যালারী থেকে ফিরতে চাবে নিজ ঘরে ৷ বাংলার মাটিতে ২০১৫ সালে ১টি টেস্ট ও ৩ ওডিআই খেলতে এসেছিল ভারত ৷ বিরাটের নেতৃত্বে লাল বলে মুশফিক বাহিনী ড্র করলেও বাংলার সেরা কাপ্তান ম্যাশের নেতৃত্বে ২-১ এ সিরিজ জিতে বাংলাদেশ ৷ নবাগত ফিজের স্লোয়ার-কাটারে বিধ্বস্ত ভারত শিবিরে নেমে এসেছিল পাহাড় সমান হতাশা ৷ তিন ম্যাচে সর্বাধিক ১৩ উইকেট শিকার করে সিরিজ সেরা হওয়ার পাশাপাশি সবটুকু আলো নিজের করে নেন এই বামহাতি বোলার ৷ ভারতে হেরেছিল সিরিজ ৷ এর পর চলে গেছে গ্রায় প্রায় ৭ বছর ৷
আবারও টাইগারদের ঘরে আসছে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম দাপুটে দলটি ৷ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ক্রিকেট পাড়ায় আলোচনা ৷ বাংলাদেশ দল পরিণত হয়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি ৷ ফিজের কাটারের পাশাপাশি তাসকিন,
শরিফুলের গতির ঝড় ৷ সাকিবের সঙ্গী মিরাজের ঘূর্ণি ৷ সাদা পোষাকে তাইজুলের স্পিন জাদু ৷ সবই যেন শক্তির বহিঃপ্রকাশ ৷ সদ্যশেষ সিরিজে তরুণদের অবদান সাহসী করবে বাংলার কাপ্তানকে ৷ আবারও সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসবে দেশ এমন অগ্রীম প্রত্যাশা নিশ্চই সকলের ৷