
ফিফা বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্ব কিনতে দুর্নীতির দায়ে ২৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ফ্রেঞ্চ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফিকে। সুইজারল্যান্ডের বেলিনজোনার একটি আদালত এ রায় দেন। খেলাইফির প্রতিষ্ঠান বেইন স্পোর্টস ঘুষ দিয়ে ২০২৬ ও ২০৩০ বিশ্বকাপের স্বত্ব নেওয়ার দায়ে এ শাস্তি দেওয়া হয় তাকে।





একই সঙ্গে ফিফার সাবেক মহাসচিব জেরম ভালকে’কে ৩৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ফুটবল বিশ্বের আলোচিত ঘটনা ফিফাগেট কেলেঙ্কারি। অর্থের বিনিময়ে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে ২০১৫ সালে নিষিদ্ধ হন তৎকালীন ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার। পদ হারান উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনিও।





আবারও আলোচনায় ফিফার দুর্নীতি। এবার নতুন কোনো কর্মকর্তার নাম আসেনি। দীর্ঘদিন ব্ল্যাটারের কমিটিতে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করা জেরম ভালকের নাম এসেছে। সঙ্গে ফেসে যাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজির চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফি। ঘুষ দিয়ে ২০২৬ ও ২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্ব কিনেছে খেলাইফির মালিকানাধীন মিডিয়া গ্রুপ বেইন স্পোর্টস। এমন অভিযোগ বেশ পুরনো। চার বছর তদন্তের পর ২০২০ সালে সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল আদালত খেলাইফিকে বেকসুর খালাস দেন। তবে এই রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে বাদীপক্ষ আপিল করে। অবশেষে তার রায় জানা গেল। সুইজারল্যান্ডের বেলিনজোনার একটি আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে খেলাইফিকে ২৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।





আর ফিফার সাবেক মহাসচিব জেরম ভালকে সাজা পেয়েছেন ৩৫ মাসের কারাদণ্ড। কাতারে জন্ম নেওয়া খেলাইফি শুধু এশিয়া না ইউরোপের ফুটবল মানচিত্রেও বেশ প্রভাবশালী। কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টের প্রধান খেলাইফি। কাতারের বেশকিছু স্পোর্টস ফেডারেশনের দায়িত্ব ছাড়াও উয়েফার নির্বাহী কমিটিতেও আছেন ৪৭ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী।





ইউরোপের ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের পদটাও তার দখলে। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের জেরে ইংলিশ ক্লাব চেলসির মালিকানা ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে রোমান আব্রামোভিচ। এবার ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের আরেক পাওয়ার হাউজ পিএসজিতেও অস্থিরতা। মেসি-এমবাপ্পে-নেইমারদের নিয়ে ইউরোপ সেরা হওয়ার লক্ষ্য দলটির।
কিন্তু এ অস্থিরতা কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। অবশ্য এই রায়ই চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত রায় আলোচনার মধ্যে রয়েছে, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে খেলাইফিকে ২৮ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও ইউরোপের গণমাধ্যমের ধারণা সেটি কমে আসতে পারে।