
সাকিব আল হাসান একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। তিনি ২৮ অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি২০ আন্তর্জাতিক সংস্করণে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।





বাংলাদেশের হয়ে খেলা সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত সাকিবকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার বলে গণ্য করা হয়। সাকিবকে নিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। এর আগেও একাধিকবার মাঠের বাইরের অনেক ঘটনা নিয়ে সংবাদ এর প্রধান শিরোনাম হয়েছেন সাকিব আল হাসান। আবারো সেখানে সাকিব। তবে এবার আর কোনো ছাড় দিতে চায়না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গুঞ্জন উঠেছে সাকিবকে নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত আসতে পারে আজ। মূলত সমস্যাটা বেঁধেছে সাকিবের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের না খেলা নিয়ে।





এর আগে সাকিবকে অনেকবার ছাড় দিয়েছে বিসিবি। সাকিবকে নিয়ে গণমাধ্যমে একমাত্র নাজমুল হাসান পাপন ছাড়া বিসিবির আর কোন ব্যক্তিকে সেভাবে কথা বলতে দেখা যায় না।
তবে এবার বিসিবির ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর আগে একাধিকবার ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। খেলেননি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে। এমনকি দেশের খেলা বাদ দিয়ে আইপিএলেও খেলতে গিয়েছেন তিনি। এবারও দল পেলে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে না খেলে আইপিএল খেলার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের।





এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিসিবির অনেক কর্মকর্তা। এমনকি বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন সাকিব যদি আইপিএলে দল পায় তাহলে তাকে হয়তো টেস্ট সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেয়া হতে পারে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আইপিএলে দল পাননি সাকিব। আইপিএলে দল না পাওয়ার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকার কথা ছিল তার।
এমনকি তাকে দলে দেখে চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। কিন্তু সাকিব জানিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে থাকছেন না তিনি।
যা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা এবং সমালোচনা। সাকিবের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।





সেই তালিকায় যোগ হয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। এইতো কিছুদিন আগেই বিপিএলে একসাথে কাজ করেছেন তারা এই দুইজন। এরপর জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমও তারা ভাগাভাগি করলেন।
অথচ পরিস্থিতি আজ এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে যেখানে খালেদ মাহমুদ সাফ জানিয়ে দেন, ‘সাকিব খেলতে না চাইলে খেলবে না। আমাদের কোনো সমস্যা নেই। ওকে ছাড়াই তো আমরা নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট জিতেছি। আই ডোন্ট কেয়ার।’
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সাকিবের না খেলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে জানা গেছে সাকিবের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে বিসিবি। যা জানা যাবে আজ।