
দুই দিন পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে উঠবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজের আগে আলোচনায় থাকার কথা ছিল ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি নিয়ে। কিন্তু দেশের ক্রিকেট এখন ব্যস্ত সাকিব আল হাসান দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে উঠবেন কি উঠবেন না তা নিয়ে।





প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আইসিসি সুপার লিগ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় সিরিজ দুটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। দুই সংস্করণের দলেই আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব, তার সম্মতি নিয়েই গড়া হয়েছিল দল। কিন্তু শারীরিক-মানসিক সমস্যার কথা বলে খেলতে অনীহা প্রকাশ করায় সমস্যায় পড়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।





সাকিব থাকলে দল গড়তে হয় একভাবে, আর না থাকলে আরেকভাবে। কারণ ব্যাট-বলে তিনি সমান পারদর্শী। বিদেশের মাটিতে যে কোনো সিরিজের আগে সাকিবের দলে থাকা না থাকার সমস্যার সমাধান চেয়ে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, এই বিষয়ে ফুলস্টপ নেওয়ার সময় এসেছে। একই কথা বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসেরও। তিনিও এ ব্যাপারে একটি স্থির সমাধানে পৌঁছাতে চান। এই সফরে যেতে অনীহার কথা সবার আগে মুঠোফোনে জালালকেই জানান সাকিব। এরপর তিনি বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সাকিব ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন জালাল।





মঙ্গলবার (৮ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জালাল বলেন, ‘আসলে আমাদের কোনো একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যেটাই হবে- হ্যাঁ কিংবা না। যাতে আমরা পরিকল্পনা করতে পারি। এখানে একজন না খেললে আমাদের কিন্তু পরে বিকল্প দিতে হচ্ছে। একজন না খেলায় যাকে বিকল্প দিলাম, সে দেখা যাচ্ছে ভালো করছে। আবার সে ফিরলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটা খেলোয়াড়ের নিজস্ব পরিকল্পনা থাকতে পারে কোন সিরিজ খেলবে, কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। কিন্তু সে যখন কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটে খেলার কথা দিয়ে ফেলে, তখন সরানো কঠিন, মুশকিল হয়ে যায়।’





এর ঘণ্টাখানেক আগে সুজনও একই সুরে কথা বলেন, ‘এখন ফুলস্টপের সময় চলে এসেছে। যথেষ্ট হয়েছে। আপনি বিসিবিকে চালাতে পারেন না। চাইলেই কেউ বলতে পারে না যে আমি খেলব কিংবা খেলব না। কেউ যদি খেলতেই চায় তাহলে ঠিকমতো খেলতে হবে। যদি খেলতে না চায় তাহলে বলে দিতে হবে। যদি বিরতি চায়, তাহলে একবারে বিরতি নিক। কেউ তাকে আটকাবে না। প্রেসিডেন্টও বলতে চেয়েছিলেন এভাবে। হয়তো বা তিনি একটু আস্তে বলেছেন। আমি একটু জোরে।’
গত রোববার রাতে দুবাইয়ের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করার আগে সাকিব জানিয়েছিলেন, তিনি বর্তমান অবস্থায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত না। বিসিবি চিন্তা করার জন্য তাকে দুই দিনের সময় দিয়েছে, আর বিসিবিও ভাববে কী করা যায়! আজ দুই দিন শেষ হচ্ছে। এখন বিসিবি সাকিবের সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায়। জালাল বললেন, ‘আমরা এখন তার জন্য অপেক্ষা করছি। আজকে রাতের বেলায় বেঁধে দেওয়া দুই দিন শেষ হয়ে যাবে। এরপর আমরা জানতে পারব। তারপরেই আমরা সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিব।’
১২ মার্চ বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ১৮ মার্চ থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। একদিনের ফরম্যাটের খেলা শেষে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।